ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধাতে চেয়েছিলেন মহম্মদ ইউনুস, চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:০০: ভারতের পূর্ব প্রান্তে বাংলাদেশের সঙ্গে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, অসম ও ত্রিপুরার সীমান্ত রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছিলেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত ৪০৯৬.৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৩২৩২.১৮ কিলোমিটারে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। ৮৬৪ কিলোমিটারে এখনও বেড়া দেওয়া বাকি। ১৭৪ কিলোমিটারে বেড়া দেওয়া সম্ভব নয়। সম্ভবত ভৌগোলিক কারণ এক্ষেত্রে বাধা।
বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তে সিংহভাগ পশ্চিমবঙ্গ হওয়ায় এ রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বিশেষ নজর রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের যে সরকার এসেছে তাদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মসৃণ নয়। ইউনুস সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে ভারতের উপরে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে গিয়েছে। তার ফলে বাংলাদেশকে আর ভারত নিরাপদ বন্ধু হিসেবে মনে করতে পারে না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সীমান্ত ভারতের কাছে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। সেই সীমান্ত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়ে যাতে কেউ দাঙ্গা-হাঙ্গামা বা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাতে না পারে, সে দিকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নজর রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। নিজের ঘরে চাপ কমাতে ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধাতে চেয়েছিল মহম্মদ ইউনুসের সরকার। এমনই দাবি করা হল জি নিউজের রিপোর্টে। এদিকে ইউনুসের সেই প্রচেষ্টাকে নাকি বানচাল করে দেন বাংলাদেশি সেনা প্রধান জেনারে ওয়াকার-উজ-জামান। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নির্বাচন নিয়ে দেশের মধ্যে চাপে আছেন ইউনুস। এই আবহে জাতীয়তাবোধের বাঁধনে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং সরকার বিরোধী মনোভাব দূর করতেই ভারতের সঙ্গে সীমান্তে সংঘর্ষ বাঁধাতে চেয়েছিল ইউনুসের সরকার।
স্বরাজ্য ম্যাগাজিনের একটি প্রতিবেদনে উদ্ধৃত করে জি নিউজের রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাকি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দল, সামরিক বাহিনী এবং জনসাধারণের অসন্তোষের চাপের মুখে আছেন ইউনুস। এই আবহে তিনি সীমান্তে ভারতের সাথে ছোটখাটো সংঘর্ষের পরিকল্পনা করার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁর কৌশল ছিল দেশপ্রেমের আড়ালে গিয়ে নিজের সমালোচনা থেকে বাঁচা। একই সাথে তার শাসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা এড়িয়ে যাওয়া।
অভিযোগ, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং আইএসআই ঘনিষ্ঠ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ ফয়জুর রহমান এই ছকের রূপরেখা তৈরি করেছিলেন। অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারত যখন বাংলাদেশ সীমান্তে অবৈধবাসীদের পুশপব্যাক করছিল, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই ভারত-বাংলাদেশ সংঘাত তৈরির চেষ্টা করতে চেয়েছিল ইউনুস সরকার।
রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে জেনারেল ওয়াকার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকেন। তাতে চিফ অফ জেনারেল স্টাফ, এয়ার চিফ মার্শাল মাহমুদ খান এবং নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল নাজমুল হাসানরা ছিলেন। বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর মাথারা ভারতকে খোঁচানোর এই পরিকল্পনাকে খারিজ করে দিয়েছিলেন।