চলতি বছরের মধ্যেই ১৪৬ কোটি পেরবে ভারতের জনসংখ্যা, বলছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, : সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) জনসংখ্যা বিষয়ক বিভাগ ইউএনএফপিএ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ‘বিশ্ব জনসংখ্যার অবস্থা’ শীর্ষক সেই রিপোর্টে ভারত সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য উঠে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মধ্যেই ১৪৬ কোটি পেরবে ভারতের জনসংখ্যা। চীনকে (china) ছাপিয়ে জনসংখ্যার নিরিখে ভারতই থাকবে শীর্ষস্থানে। পাশাপাশি একটি উদ্বেগের খবরও শোনানো হয়েছে রিপোর্টে। তা হল, ভারতে জন্মহারও কমবে। অর্থাৎ বাড়বে প্রবীণের সংখ্যা।
এর আগে ২০২৩-এ প্রকাশিত এমন একটি রিপোর্টে ভারতের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৮৬ লক্ষ বলে দাবি করা হয়। অর্থাৎ দু’বছরের মধ্যে বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, জনসংখ্যা (population) বাড়লেও কমছে জন্মহার (birth rate)। এর নেপথ্যে বর্তমান প্রজন্মে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া। জানা গিয়েছে, পরবর্তী প্রজন্মে জনসংখ্যার আকার ঠিক রাখতে প্রয়োজনের তুলনায় কম সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন ভারতীয় মহিলারা। ভারতে মহিলা প্রতি প্রজননের হার ২.১ থেকে ১.৯-এ নেমে এসেছে। অর্থাৎ আগে একজন ভারতীয় মহিলা গড়ে দু’টি সন্তানের জন্ম দিতেন। এখন সেই গড় কমে দাঁড়িয়েছে ১.৯। এই সমস্যাকে ‘দ্য রিয়েল ফার্টিলিটি ক্রাইসিস’ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে এই রিপোর্টে। সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা, দুর্বল স্বাস্থ্য, পরিবার ও সামাজিক চাপ, ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা… এমন একাধিক কারণ এর নেপথ্যে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
ভারতে নিযুক্ত ‘ইউএনএফপিএ’ মুখপাত্র আন্দ্রিয়া এম ওজনার বলেছেন, ‘প্রজনন হার হ্রাসের ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান উল্লেখযোগ্য। গত শতাব্দীর সাতের দশকেও তা ছিল মহিলা পিছু পাঁচটি সন্তান। সেটা এখন দুইতে এসে দাঁড়িয়েছে। মায়ের মৃত্যুহার আগের থেকে কমেছে। তবে বিভিন্ন রাজ্য, জাতির মধ্যে সামাজিক বৈষম্য লক্ষণীয়।’ এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার উপায়ও বাতলেছেন তিনি। তাঁর মতে, সঠিক প্রজননের অধিকার, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটানোর মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান পাওয়া যেতে পারে।
সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, ভারতে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য। মোট জনসংখ্যার ২৪ শতাংশ ০-১৪ বছর বয়সি। ১৭ শতাংশ ১০-১৯ বছরের মধ্যে, ২৬ শতাংশ ১০-২৪ বছর বয়সি। আবার প্রবীণদের সংখ্যাও বেশি। ৬৫ বছরের উপরের জনসংখ্যা ৭ শতাংশ।