BJP-RSS-র বিরোধের কারণেই বিলম্বিত হচ্ছে পদ্ম পার্টির সভাপতি নির্বাচন?
লিখেছেন: সৌভিক রাজ

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:০০: নাড্ডার পর কে হবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি? জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে ঘুরপাক খাচ্ছে এ প্রশ্ন। মেয়াদ শেষ হলেও নাড্ডাই এখনও দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। কেন বিলম্বিত হচ্ছে বিজেপির সভাপতি নির্বাচন? সূত্রের খবর, বিজেপি ও সঙ্ঘের বিরোধ চরমে পৌঁছে গিয়েছে। সেই কারণে আজও সভাপতি পদে নতুন কাউকে বসাতে পারেনি বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
বিজেপির দলীয় সংবিধান অনুযায়ী, অর্ধেকের বেশি রাজ্যের রাজ্য শাখার সভাপতি নির্বাচন হলে তবেই জাতীয় সভাপতি নির্বাচন করা হয়। উত্তরপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো বড় রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে এখনও রাজ্য শাখা সাংগঠনিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়নি। এই রাজ্যগুলোর প্রদেশ শাখার সাংগঠনিক বদল প্রক্রিয়া শেষ হলে তারপর সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচন হতে পারে। মনে করা হচ্ছে, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে বা আগস্টের একেবারে প্রথম সপ্তাহে নয়া সভাপতি পেতে পারে বিজেপি। ততদিন অবধি নাড্ডা থেকে যাবেন পদে। সূত্রের খবর, অক্টোবর-নভেম্বরে বিহার নির্বাচন বিজেপি নতুন সভাপতির অধীনে লড়তে পারে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, জাতীয় সভাপতি নির্বাচন বার বার পিছিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রদেশ শাখার সাংগঠনিক বদল না-হওয়া কোনও কারণ নয়। সঙ্ঘ ও বিজেপির মধ্যে সমন্বয়ের অভাবই নাকি আসল কারণ।
অতীতে অমিত শাহ এবং নাড্ডার সময় বিজেপির সভাপতি নির্বাচন হওয়ার সময় এমন কোনও বিলম্ব হয়নি। সে সময় রাজ্য শাখাগুলোর জন্য অপেক্ষাও করা হয়নি। কিন্তু এবার রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির কোন্দল চরমে পৌঁছেছে। প্রদেশ শাখাগুলোতেও দ্রুত সাংগঠনিক নির্বাচন করতে পারছে না বিজেপি। জাত-ধর্মের সমীকরণ রয়েছে। রয়েছে ভোটের অঙ্ক। উত্তরপ্রদেশে পরবর্তী সভাপতি অনগ্রসর শ্রেণি থেকেই নির্বাচিত করতে হবে। মধ্যপ্রদেশের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী নিম্নবর্ণের প্রতিনিধি ফলে সে রাজ্যে উচ্চবর্ণের কাউকে দলীয় সভাপতির পদে বসাবে বিজেপি।
বিগত লোকসভা ভোটে বিজেপি ৩০৩ থেকে ২৪০-এ নেমে এসেছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলেন, সঙ্ঘের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাব ভোটে বিজেপির পতনের অন্যতম কারণ। এবার সঙ্ঘ চাইছে বিজেপির উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাক। অর্থাৎ সঙ্ঘের কেউ বিজেপির সভাপতির পদে বসুক। সভাপতির দৌড়ে শিবরাজ সিং চৌহানের নাম শোনা যাচ্ছে। বিজেপি নেতারা তাঁকে নিয়ে উৎসাহী না-হলেও সঙ্ঘের পছন্দ শিবরাজ। দৌড়ে আছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান ও ভূপেন্দ্র যাদব। তিনজনেই অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধি। সেক্ষেত্রে তাঁরা তিনজনেই প্রথম সারিতে আছেন পরবর্তী সভাপতি হওয়ার প্রতিযোগিতায়। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিকিষন রেড্ডি এবং বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসলের নামও শোনা যাচ্ছে সভাপতি পদের লড়াইয়ে।