বাংলাদেশে কবিগুরুর বাড়ি ভাঙচুর, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৫০: আরও একবার প্রতিবেশী দেশে অরাজকতার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত কবিগুরুর পৈতৃক বাড়িতে দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালায়। বৃহস্পতিবার সকালে তা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে ওই দর্শনীয় স্থানে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে সেখানকার পুরাতত্ব বিভাগ। এনিয়ে প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “এই পৈতৃক ভিটেটি শুধুমাত্র একটি বাড়ি নয়, বরং উপমহাদেশের সৃষ্টিশীলতার এক বিরাট কেন্দ্র। এখানেই একাধিকবার এসেছেন কবি স্বয়ং। তাঁর অনেক অমর সৃষ্টি এই স্থানেই রচিত হয়েছে। এই বাড়ির সঙ্গে কবির সৃষ্টিশীলতার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।”
এই বর্বরোচিত ঘটনায় শুধু ঐতিহাসিক সম্পত্তি নয়, বাঙালির জাতীয় গর্ব ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপরও আঘাত এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “এটি আমাদের অনুভূতির উপর, আমাদের অমূল্য ঐতিহ্যের উপর এবং আমাদের ইতিহাসের গর্বের উপর এক নিকৃষ্ট হামলা।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্মরণ করিয়ে দেন, কীভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বদেশী আন্দোলনের সময়ে বাংলা ভাগের বিরোধিতা করে তাঁর কণ্ঠ তুলেছিলেন। এই আঘাত গোটা বাঙালি সমাজের কাছে এক যন্ত্রণার বিষয় বলে মনে করেন তিনি।
চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, এই ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে যেন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জোরালোভাবে আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে এরকম ঘটনা আর না ঘটে, সেজন্য আন্তর্জাতিক স্তরে কড়া প্রতিবাদ জানানোর কথাও বলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “যদিও ইতিমধ্যেই অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে, তবুও কঠোর আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ অন্তত ভবিষ্যতে এরকম বর্বরোচিত হামলা রোধ করতে সহায়ক হবে।”