ধিক্! ইউনুসের বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথের কাছারিবাড়ি তছনছ, কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চাইল TMC

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:০০: তাঁর হাত ধরেই প্রথম নোবেল এসেছিল এশিয়ায়। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি…’ লিখেছে তাঁরই কলম। সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের বাড়িতে ভাঙচুর! জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার একদল লোক তাঁর বাড়ি তথা মিউজিয়ামে ভাঙচুর চালিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি। শুধু ভারতের নয়, বাংলাদেশেরও গর্ব। তাঁর সাহিত্য, সঙ্গীত, সমাজভাবনা দুই বাংলার অস্তিত্বে মিশে আছে। সেই রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত স্থানে এমন বর্বর আচরণ—তা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয় ও লজ্জাজনক।
গত ৮ জুন রবিবার, এক পর্যটক পরিবার নিয়ে শাহজাদপুরের কাচারিবাড়ি দর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে গেটের কর্মীদের সঙ্গে তাঁর পার্কিং ফি সংক্রান্ত বচসা হয়। অভিযোগ, তাঁকে অফিসঘরে আটকে রেখে মারধর করা হয়। এর জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদে নামে। মানববন্ধনের পরে উত্তেজিত জনতা কাছারিবাড়ির অডিটোরিয়ামে হামলা চালায়, ভাঙচুর করে এবং এক পরিচালকের উপর শারীরিক হেনস্থা করে। এই হামলার পরেই বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। আপাতত দর্শনার্থীদের প্রবেশও বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার স্থানীয়রা এক মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে জনতা। তাঁরা কাচারিবাড়ির অডিটোরিয়ামে ভাঙচুর চালায় এবং প্রতিষ্ঠানের এক পরিচালকের উপর হামলা করে বলে জানা গেছে।
এই ঘটনায় বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কারা হামলা চালিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর শাহজাদপুরের জমিদারি কিনে নিয়েছিলেন। তখন এই কাছাড়িবাড়িটি ঠাকুর পরিবারের হস্তগত হয়েছিল। গোটা ঘটনায় কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চাইল তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্র যেন দ্বিপাক্ষিক কথা বলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় সেটা জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ আইকন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ির ওপর এই অত্যাচার বা হামলা মেনে নেওয়া হবে না।