মোদীর লজ্জা নেই? আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনাস্থলে প্রধানমন্ত্রীর ফটোশুটকে খোঁচা তৃণমূলের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭.৩০: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিরোধীরা প্রচারমন্ত্রী বলে খোঁচা দেন। মোদী জমিয়ে প্রচারটা করতে জানেন বলেই মত তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের। গুহায় ধ্যান করা থেকে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া, ময়ূরকে খাওয়ানো থেকে সমুদ্র সৈকতের আবর্জনা সাফ করা; সব সময়ই মোদীর সঙ্গে থাকে ক্যামেরা। প্রতিটি মুহূর্ত লেন্সবন্দি হয়। ছড়িয়ে পড়ে সমাজ মাধ্যমে। আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনাতেও তার ব্যতিক্রম হল না। ছবি উঠল ক্যামেরায়। নির্লজ্জের মতো লেন্সের সামনে দাঁড়িয়ে রইলেন মোদী। এ’বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে।
১২ জুন, বৃহস্পতিবার দুপুরে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার (এআই১৭১ বিমান) বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অনতিদূরে মেঘানি নগরে ভেঙে পড়ে। বিমানে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। একজন বাদে বাকি সকলেই প্রাণ হারান। পাইলট, বিমানকর্মীরাও মারা গিয়েছেন। বিমান লোকালয়ে ভেঙে পড়ায় অনেকেই আহত হন।
শুক্রবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মোদী। আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেও তাঁর সঙ্গী ছিল ক্যামেরা। দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার সময়ে নানান মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি হয়। ছবিগুলো সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়েও যায়। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ডাক্তারি পড়ুয়াদের হোস্টেলের মধ্যে ঢুকে রয়েছে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের ধ্বংসাবশেষ। নিচ থেকে বিধ্বস্ত বিমানের দিকে তাকিয়ে আছেন মোদী। নিঃসন্দেহে এহেন ফটোগ্রাফি প্রশংসার দাবিদার কিন্তু শয়ে শয়ে মানুষের মৃত্যু মিছিলের মধ্যে দাঁড়িয়ে দেশের প্রশাসনিক প্রধানের এহেন আচরণ কি শোভা পায়? উঠছে প্রশ্ন।
ছবিটি এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে সাকেত লেখেন, “এত বড় দুঃখজনক ঘটনার সময় কে এমনভাবে ‘গ্রাউন্ড-অ্যাঙ্গেল’ ফটো তোলে? একবারের জন্য হলেও অন্তত লজ্জা পাওয়ার ভান করুন মোদী।”