রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বাঙালি পেলেন ‘কম্পিউটার সায়েন্সের নোবেল’

June 18, 2025 | < 1 min read

ভারতীয় বংশোদ্ভুত অধ্যাপক, কর্নেল ইউনিভার্সিটির ঈশান চট্টোপাধ্যায়. (ছবি সৌজন্যে: Cornell University)

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:২২: কিছুদিন আগেই পেন স্টেট ইউনিভার্সিটির দুই বাঙালি বিজ্ঞানীর নেতৃত্বাধীন একটি দল বিশ্বের প্রথম টু-ডি নন-সিলিকন কম্পিউটার বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলো। এবার আরেক বাঙালি বিজ্ঞানী পেলেন ‘কম্পিউটার সায়েন্সের নোবেল’ নামে পরিচিত গোডেল প্রাইজে।

ভারতীয় বংশোদ্ভুত অধ্যাপক, কর্নেল ইউনিভার্সিটির ঈশান চট্টোপাধ্যায় এবং ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস অস্টিন-এর অধ্যাপক ডেভিড জুকারম্যান ২০২৫ সালের গোডেল প্রাইজে ভূষিত হয়েছেন তাঁদের যৌথভাবে লেখা ‘র‍্যান্ডমনেস’ বা যৌগিকতা সম্বন্ধীয় গবেষণাপত্রের জন্য।

তাঁদের গবেষণা বিশেষ ভাবে ‘র‍্যান্ডমনেস এক্সট্রাকশন’ নামক তত্ত্বের ওপর। গত ৩০ বছর ধরে ভাবিয়েছে যেই সমস্যা, এক বাঙালির হাতে হলো তার সমাধান।

এই দুজন বিজ্ঞানী দেখিয়েছেন কিভাবে দুর্বল সোর্স থেকেও র‍্যান্ডমনেস তৈরি করা যায়, যার প্রয়োগ মূলত ক্রিপ্টোগ্রাফি, সুরক্ষিত যোগাযোগ এবং ডেটা কমপ্রেশনের মতো ক্ষেত্রে হতে পারে। ব্যবহারিক দিক থেকে দেখতে হলে ‘র‍্যান্ডমনেস এক্সট্র্যাকশন’ তত্ত্ব ক্রেডিট কার্ড পেমেন্ট আরো সুরক্ষিত করা বা মিলিটারি কমিউনিকেশনের মতো কাজে লাগানো যাবে। ব্যবহারিক দিক থেকে দেখতে হলে ‘র‍্যান্ডমনেস এক্সট্র্যাকশন’ তত্ত্ব ক্রেডিট কার্ড পেমেন্ট আরো সুরক্ষিত করা বা মিলিটারি কমিউনিকেশনের মতো কাজে লাগানো যাবে।

ঈশান আইআইটি কানপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং অফ সায়েন্স করে আমেরিকা চলে যান, যেখানে ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস অস্টিন থেকে পিএইচডি করেন। পিএইচডি-তে তাঁর সুপারভাইজার ছিলেন ডেভিড জুকারম্যান, যাঁর সঙ্গে মিলে গোডেল পুরস্কার পেয়েছেন।

এখন এআই নিয়ে বিভিন্ন কাজ গোটা দুনিয়ার নজর কেড়ে রেখেছে কিন্তু ঈশানের পুরস্কার আবার করে মনে করিয়ে দিয়েছে যে অনেক প্রয়োগিক বস্তুই মৌলিক তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে বানানো, যার স্বীকৃতিও ভীষণ ভাবে জরুরি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Bengali, #computer science research, #Eshan Chattopadhyay, #2025 Gödel Prize, #Godel prize, #randomness extraction, #randomness

আরো দেখুন