Kaliganj bypoll: কালীগঞ্জ উপনির্বাচনের আগে কমিশনের ওয়েবকাস্টিং নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ তৃণমূলের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:২০: বৃহস্পতিবার (19 june) কালীগঞ্জে উপনির্বাচন (Kaligunj Bypoll)। তার আগেই আজ অর্থাৎ বুধবার সন্ধ্যেবেলায় ওয়েব কাস্টিং নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলো তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। আজ তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক এই বিষয় উত্থাপন করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
বৈঠকে তিনি বলেন, “গুজরাতের একটি সংস্থাকে এই কাজের (webcasting) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। খুব কম সময়ে শর্ত রেখে এই সংস্থাকে বেছে নেওয়া হয়েছে, যা স্বাভাবিক নয়। আর সেখান থেকেই সন্দেহের উৎপত্তি হচ্ছে।”
তাঁর কথায় আগামী এক বছরের জন্য এই সংস্থাকে এই কাজের বরাত (tender) দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যেই অনুষ্টিত হবে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন (WB Assembly elections)। আমরা চাই জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commision) নিরপেক্ষ থেকে কাজ করুক”।
আগামীকাল কালীগঞ্জের নির্বাচনের দায়িত্বও জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। তাই সেখানে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে কী না, তাই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা।
তাঁর অভিযোগ, “নির্বাচন প্রক্রিয়া হাইজ্যাক করার জন্যই কি বিজেপির (BJP) এই প্রচেষ্টা? প্রথমে ওরা ভোটার কার্ড নম্বর (EPIC) নকল করে ভুয়ো ভোটার আনার চেষ্টা হয়েছিল, যা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে ফাঁস হয়ে যায়। তাই এখন তাদের নজর ওয়েবকাস্টিংয়ের মতো নজরদারি ব্যবস্থার উপর, যা অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এভাবে বিজেপি নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে, এবং নির্বাচনের ফল প্রভাবিত করার চক্রান্ত করছে।”
চন্দ্রিমা দাবি জানিয়েছেন, “তারা (নির্বাচন কমিশন) যেন বিজেপির রাবার স্ট্যাম্প হিসেবে নয়, গণতন্ত্রের (democracy) সাংবিধানিক রক্ষক হিসেবে কাজ করে। যদি নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে নীরব থাকে, তাহলে তারা গণতন্ত্র ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে সহায়ক হবে।”