ভারত-পাক Ceasefire: ট্রাম্প নাকি মোদী, যুদ্ধবিরতি নিয়ে কার দাবি সত্য?

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:২৮: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাব দিতে ৭ মে মধ্যরাত থেকে পাক-ভূমে অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ভারতীয় সেনা। যুদ্ধের আবহ তৈরি হয় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ। কিন্তু মাঝে ঢুকে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) ট্রাম্প জানান,
তিনিই যুদ্ধ বিরতিতে রাজি করিয়েছেন ভারত ও পাকিস্তানকে। ট্রাম্পের পোস্টের পর ভারতীয় সেনা ও বিদেশমন্ত্রক একে একে যুদ্ধবিরতির কথা জানায়। ভারতের দাবি, পাকিস্তানের তরফে প্রথম যুদ্ধবিরতির জন্য আবেদন করা হয়েছিল। অন্যদিকে, মোদী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার আগেই ট্রাম্প হোয়াট হাউসে দাঁড়িয়ে জানান, বাণিজ্য বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি দুই দেশকে যুদ্ধ থামাতে বাধ্য করেছেন।
বিগত এক-দেড় মাস ধরে লাগাতার ভারত-পাক যুদ্ধ থামানোর কৃতিত্ব নিয়ে গিয়েছেন ট্রাম্প। উল্টোদিকে, মোদী কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন এতদিন। ট্রাম্পের দাবিকে নস্যাৎ করেননি মোদী। বিরোধীরা বার বার প্রশ্ন তুললেও ট্রাম্পের দাবি ঘিরে অবস্থান স্পষ্ট করেনি ভারত সরকার।
সম্প্রতি শুরু হয়েছে জি৭ সম্মেলন। সেখানে মোদী ও ট্রাম্পের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। হঠাৎই আমেরিকা ফিরে গিয়েছেন ট্রাম্প। বুধবার টেলিফোনে কথা হয় ট্রাম্প ও মোদীর। সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, ট্রাম্পের আগ্রহে প্রধানমন্ত্রী মোদী, তাঁর সঙ্গে প্রায় ৩৫ মিনিট ফোনে কথা বলেন। বিক্রম মিশ্রির দাবি, ফোনে মোদী স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। যুদ্ধবিরতিতে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যের কোনও বিষয় ছিল না। এমনকী আমেরিকার মধ্যস্ততাতেও যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছয়নি ভারত ও পাকিস্তান।
এমন সন্দিহান পরিস্থিতিতে আম জনতা কার্যত দিশেহারা! কার দাবি সত্য, কাকে বিশ্বাস করবেন একশো চল্লিশ কোটি ভারতীয়? সেনার বীরত্ব, দেশবাসীর আবেগ এক লহমায় ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল ১০ মে, যখন ট্রাম্প দাবি করেন ব্যবসা বন্ধের হুঁশিয়ারিতেই থেমে গিয়েছে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ। তারপর থেকে মোদী সরকারের নীরাবতা ট্রাম্পের দাবিকেই মান্যতা দিচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। নয়া দাবিই কি সত্য? না-কি জনমত অনুকূলে রাখতে তথা বিশ্বগুরু ইমেজ অটুট রাখছেন মোদী? উঠছে প্রশ্ন। জিজ্ঞাসু মন নিয়ে আপেক্ষায় ভারতের প্রতিটি নাগরিক।