Tendulkar-Anderson Trophy: পতৌদির নাম সিরিজ থেকে বাদ পড়ছে না! জানালেন স্বয়ং তেন্ডুলকর

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:১৮: পতৌদির নাম সরিয়ে তেণ্ডুলকর-অ্যান্ডারসনের নামে সিরিজের নামকরণ নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই উন্মোচিত হল ট্রফি। ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ শুরুর একদিন আগে ট্রফি উন্মোচন করেছেন শচীন এবং অ্যান্ডারসন। দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে রুপোলি ট্রফির সামনে পোজ দিতে দেখা যায়। ট্রফির নাম বদলে জুড়ে গেল তাঁর নাম। অথচ তিনি জানতেন পর্যন্ত না। খবরে চাউর হতে নজরে আসে। তারপর যোগাযোগ করেন, জানান নিজের আপত্তির কথা।
পতৌদি ট্রফির নাম বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বিতর্ক শুরু হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ হয়েছিল। সেই সময় সচিন কী করেছিলেন তা নিজেই জানিয়েছেন তিনি। প্রথমে পতৌদির পরিবারকে ফোন করেন। এরপর আইসিসি-র চেয়ারম্যান জয় শাহ, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং ইংল্যান্ড বোর্ডকে ফোন করেন।
এক সাক্ষাৎকারে শচীন বলেন, “পতৌদির ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখার দরকার ছিল। তাই আমি ওঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলি। ওঁরাও আমার সঙ্গে একমত ছিলেন। তার পরে আমি জয় শাহ, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে অনুরোধ জানাই। সেই অনুরোধ ওঁরা মেনেছেন। জয়ী অধিনায়ককে পতৌদির নামে মেডেল দেওয়া হবে। পতৌদির ট্রফির নাম বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের ছিল। আমি যতটা পেরেছি ওঁর নাম ধরে রাখার চেষ্টা করেছি।”
২০০৭ সালে ভারতীয় দলের টেস্ট ক্রিকেটে ৭৫তম বর্ষপূর্তির আবহে নতুন এক প্রতিযোগিতা শুরু হয়। যেহেতু ১৯৩২ সালের জুন মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক লর্ডেসের ময়দানে প্রথমবারের জন্য লাল বলের ক্রিকেট খেলতে নেমেছিল টিম ইন্ডিয়া, তাই সেই স্মৃতিকে সম্মান জানাতে দুই দেশের ক্রিকেটীয় সংস্কৃতির মেলবন্ধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় যে পতৌদি পরিবার, তাদের নামেই ট্রফির নাম রাখা হয় ‘পতৌদি ট্রফি’।
সম্প্রতি সেই টুর্নামেন্টের নাম বদলে রাখা হয় ‘তেন্ডুলকর-আন্ডারসন ট্রফি’। যা শুরু হতে চলেছে ২০ জুন। এই নিয়ে ঘরে-বাইরে প্রবল সমালোচনা দানা বাঁধে। কীসের ভিত্তিতে পতৌদি পরিবার, ভারতীয় ক্রিকেটে যাদের ঐতিহ্য সুমহান, তাদের স্মরণে চালু হওয়া খেতাবের নাম বদলে দিল দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড? প্রশ্ন তোলেন সুনীল গাভাসকার থেকে কপিল দেবের মতো অনেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার। তবে শেষ পর্যন্ত সিরিজ়ের নামবদল হলেও এখনও ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মনসুর আলি খান পতৌদির নাম সিরিজ থেকে বাদ পড়ছে না। তার নেপথ্যে বড় কৃতিত্ব রইল শচীন তেন্ডুলকরের।