West Bengal: হাইকোর্টের রায়ের পরই ১০০ দিনের কাজের টাকা আদায়ের জন্য ‘প্রস্তুত’, কেন্দ্রকে চিঠি দিচ্ছে রাজ্য

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:৩০: পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজ শুরু করা নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের। বুধবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায় দাসের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ, ১ আগস্টের মধ্যে রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ শুরু করতে হবে। প্রয়োজনে যেকোনও শর্ত আরোপ করতে পারবে বলেও জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
বলার অপেক্ষা রাখে না বিগত সাড়ে তিন বছর ধরে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ থাকার পর অক্সিজেন জুগিয়েছে হাইকোর্টের রায়। এখন অপেক্ষা শুধু কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের কপি হাতে পাওয়ার। তারপরই কেন্দ্রকে চিঠি পাঠাবে নবান্ন। জানতে চাওয়া হবে, ১ আগস্ট থেকে কাজ শুরুর জন্য রাজ্যের পদক্ষেপ কী হবে। এবং অবশ্যই নবান্নের জিজ্ঞাস্য, বাংলার জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কত শ্রম বাজেট ধার্য করতে চলেছে মোদী সরকার। তাই ‘প্রস্তুতি’তে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তর। অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে শুধু প্রয়োজনীয় কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর। আর তাই চিঠির তোড়জোড় শুরু হয়েছে নবান্নের তরফে।
মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান দিল্লিতে নেই। বুধবার রাতেই চলে গিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের বিদিশায়। ছোটছেলের জন্মদিনের জন্য। রাজধানীতে ফিরবেন সোমবার। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত থমকে রয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, প্রয়োজনে হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন, অথবা সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন করতে পারে কেন্দ্র। তবে সম্পূর্ণ বিরোধিতা করে আদালতের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করা নিয়ে ধন্দে রয়েছে সরকার। কারণ, তাহলে রাজনৈতিকভাবে সমালোচনার মুখে পড়বে বিজেপি। আগামী বছরই বাংলায় বিধানসভার ভোট। তাই অত্যন্ত মেপে পা ফেলতে চান নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও বসে নেই। জানা যাচ্ছে, কেন্দ্র যাতে একতরফা কিছু করতে না পারে, তাই সুপ্রিম কোর্টে কেভিয়েট (আগাম আবেদন) করে রাখতে পারে নবান্ন। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত অবশ্য হাইকোর্টের অর্ডারের কপি হাতে পায়নি প্রশাসন। তবে কাজ শুরু করতে কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে পরবর্তী কার্যকলাপ কী হবে, তা নিয়ে রাজ্যের আধিকারিকরা বিশ্লেষণ শুরু করেছেন।