BJP শাসিত রাজস্থানে বন্দি শতাধিক বাঙালি শ্রমিক, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:৩৯: রাজস্থানে বাংলাভাষী শতাধিক ব্যক্তিকে ‘বাংলাদেশি’ পরিচয়ে আটকে রাখার ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee )। বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের ভাষা শুনে ‘বাংলাদেশি’ বলে দেগে দেওয়া হচ্ছে। তারপর নেমে আসছে অত্যাচার। ভুল বোঝাবুঝির জেরে কখনও কখনও পুশব্যাক করা হচ্ছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। বেশ কয়েকমাস ধরেই ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা এ ধরনের অভিযোগ করেছেন। সুরাহার জন্য রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। সম্প্রতি রাজস্থানেও (Rajasthan ) এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। ইটাহারের অন্তত ৩০০ জনকে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার বিধানসভায় সেখানকার বিধায়কের মাধ্যমে এই খবর শুনে প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজস্থানের বিজেপি সরকারকে তাঁর প্রশ্ন, “বাংলা ভাষায় কথা বললেই কি অপরাধ? তাহলে বলে দেওয়া হোক, বাংলা ভাষা নিষিদ্ধ। রাজস্থানে যাঁরা আটক হয়েছেন, তাঁরা কারও বাবা, কারও ভাই, কারও সন্তান। তাঁরা কেউ বাংলাদেশি নন— তাঁরা উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার এলাকার বাসিন্দা, ভারতের নাগরিক।”
মুখ্যমন্ত্রী রাজস্থানের বিজেপি সরকারকে নিশানা করে বলেন, ”গত কয়েক দিন ধরেই এটা চলছে। বাংলা ভাষায় কথা বললেই পুশব্যাক! আমাদের, বাঙালিদের সম্মান করলে তোমরাও সম্মান পাবে না। বাংলার ২২ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক বাইরে কাজ করেন। বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশে পুশব্যাক করবে? তামিল বললে কি শ্রীলঙ্কায় পাঠাবে তাহলে? আর গোর্খা যারা তাদের কি নেপালে পাঠাবে? আসলে বাংলায় কথা শুনলেই এরা জ্বলে।”
মঙ্গলবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘অন্যান্য রাজ্যের দেড় কোটি শ্রমিক এ রাজ্যে কাজ করেন। তাঁদেরকে তো আমরা অসম্মান করি না! কিন্তু বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাংলা ভাষায় কথা বলা কি অপরাধ? স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, এঁরা কী ভাষায় কথা বলতেন? এরা সে সব ভুলে গিয়েছে।’’ গোটা বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নজরে আনতে চান বলেও জানিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেই বার বার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। তিনি বলেন, ‘‘বাঙালিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব কী, তা জানি না। কিন্তু এটা স্পষ্ট যে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির বাঙালিদের নিয়ে সমস্যা রয়েছে।’’