Kasba: বাংলায় ধর্ষককে ফুল-মিষ্টি দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয় না, ১২ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকশন নিয়েছে পুলিশ, জানাল TMC

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:০৬: দক্ষিণ কলকাতার আইন কলেজে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর ধর্ষণকাণ্ড ঘিরে রাজ্যজুড়ে যখন ক্ষোভ ও উদ্বেগের সঞ্চার হয়েছে, তখন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস শুক্রবার দুপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে তৃণমূল ভবনে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা, তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এবং টিএমসিপি সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।
নির্যাতিতার পাশে থাকার আশ্বাস রাজ্যের শাসক শিবিরের নেতানেত্রীরা। কেন এখনও অপরাজিতা বিলে সই করলেন না রাষ্ট্রপতি, এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে সে প্রশ্ন তুললেন শশী পাঁজা। গণধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগে বিজেপিকে ব্রিজভূষণ এবং সিপিএম তাপসী মালিকের কথা মনে করালেন কুণাল ঘোষ।
শশী পাঁজা বলেন, “সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই। আইন ছাত্রীর উপর যারা বর্বর ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের জেলে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিতার পাশে আছি।” বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে তিনি আরও বলেন, “অপরাধ হবে আর তা নিয়ে রাজনীতি হবে, এটা চলতে পারে না। যারা রাজনীতিতে দেউলিয়া তারা বিভিন্ন ব্যাখ্যা করছে। সোশাল মিডিয়ায় কাটাছেঁড়া চলছে। তাঁদের কাছে আমার একটাই বক্তব্য, অপরাজিতা বিল বিধানসভায় ১০ মাস আগে পাশ হয়ে গিয়েছে। মানুষ দ্বারা নির্বাচিত বিধায়করা তাতে সায় দিয়েছেন। ওই বিল কে আটকে রেখেছে? রাজনীতি করার আগে উত্তর দিক বিজেপি। রাস্তায় বাঁদরামো করবেন না। তার চেয়ে বিল আগে পাশ করানোর চেষ্টা করুন। মহিলার শরীর রাজনৈতিক যুদ্ধের জন্য নয়। তা সম্মান করার।”
কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) আবার একযোগে বিজেপি-সিপিএম এবং কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেছেন, তারা সবাই নারী নির্যাতনের পাপে ডুবে আছে। সাম্প্রতিক অতীতে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যেখানে ধর্ষণে অভিযুক্তদের বীরের সম্মান দিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়েছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে তিনি ব্রিজভূষণ, উন্নাওয়ের ঘটনার কথা টেনে আনেন। সবশেষে কুণালও বলেন, কসবার ঘটনার নিন্দা করার ভাষা তাঁদের নেই। তবে তৃণমূল কংগ্রেস নির্যাতিতার পরিবারের পাশে আছে।
গত বুধবার কলেজের গার্ড রুমে ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে তিনজনের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে তারা গ্রেপ্তার হয়েছে এবং পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। শাসক দলের দাবি, ১২ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকশন নিয়েছে পুলিশ।