বাংলার পাওনা আটকে যোগদিবসে জলের মতো অর্থব্যয় মোদী সরকারের, উঠছে প্রশ্ন

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি,১১:৩৫: মোদীর রাজনীতি অনেকটাই প্রচার সর্বস্ব, বার বার অভিযোগ করে এসেছেন বিরোধীরা।
কেন্দ্র টাকা নেই টাকা নেই গীত গাইলেও, মোদীর অনুষ্ঠানে জলের মতো অর্থ খরচ হয়।
মোদীর সাধের কর্মসূচিগুলির জন্য এক একদিনেই কোটি কোটি টাকা হেলায় ব্যয় হয়ে যায়! সদ্যই দেশজুড়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে ১১তম আন্তর্জাতিক যোগদিবস পালন করেছে মোদী সরকার। রাষ্ট্রসঙ্ঘ ২১ জুনকে ‘আন্তর্জাতিক যোগদিবস’ ঘোষণা করায় ধীরে ধীরে খরচের বহর বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে জাঁকজমক! ৪৩ কোটি ২০ লক্ষ থেকে খরচ পৌঁছে গিয়েছে ১২০ কোটিতে, তিনগুণ বৃদ্ধি! আরটিআইয়ের মাধ্যমে করা এক প্রশ্নের উত্তরে খোদ মোদী সরকারই এমন জানিয়েছে। কিন্তু বাংলার জন্য কেন্দ্রের টাকা নেই।
অভিযোগ, বাংলার মানুষের মাথার ছাদ, একশো দিনে কাজ কিছুর জন্যেই টাকা দিতে রাজি নয় কেন্দ্র।
সমাজকর্মী অজয় বাসুদেব বোসের করা প্রশ্নের জবাব থেকে জানা গিয়েছে, অর্থমন্ত্রকের এক্সপেন্ডিচার ডিপার্টমেন্ট ১১তম আন্তর্জাতিক যোগদিবস এবং যোগদিবস পালনের এক দশক পূর্তি উপলক্ষ্যে ১০টি প্রধান অনুষ্ঠানের জন্য ১২০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। ২০১৫ থেকে ২০১৯, এই পাঁচ বছরে যোগদিবসের জন্য মোট ১৪০ কোটি ব্যয় করেছে মোদী সরকার। ২০২২ সালে কর্ণাটকের মাইসুরু প্যালেসে যোগদিবস পালন করেছিলেন মোদী। শুধু রাস্তাঘাটের পিছনেই ব্যয় হয়েছিল ৫৬ কোটি টাকা।
যোগদিবসের জাঁকজমকে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও বাংলার ১ লক্ষ ৮৭ হাজার কোটি টাকা বকেয়া মেটানোর বিষয়ে একেবারে নীরব মোদী সরকার। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে আটকে রয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। আবাস থেকে সড়ক যোজনা, জল জীবন মিশন মিলিয়ে বকেয়া ১৩ হাজার কোটি। রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের অভিযোগ, “জনগণের করের টাকায় গত ১১ বছর ধরে নিজের প্রচার করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। অথচ বাংলার মানুষের প্রাপ্য বছরের পর বছর আটকে। এটা অনৈতিক শুধু নয়, অন্যায়ও।”
রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের কথায়, “যোগ-বিয়োগে মোদী সরকার কত টাকা খরচ করেছে, তার থেকেও বড় বিষয় হল বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রীর ব্যয়। যেখানে প্রত্যেকদিনই বিবিধ খাতের নামে বিপুল পরিমাণ টাকা অপচয় হয়। সেখানে বছরের পর বছর বাংলার গরিব মানুষকে বঞ্চিত করে চলেছে কেন্দ্র। এটা কেমন বর্বরতা?”
প্রচার তথা জাঁকজমক দেখানোর জন্য অঢেল অর্থ থাকলেও, বাংলার গ্রামীণ মানুষের মাথার ছাদের জন্য টাকা নেই মোদী সরকারের? একশো দিনের কাজ স্তব্ধ। ঘাটলের মানুষ জলের তলায়। রাজ্য নিজের অর্থে মানুষের কাজের অধিকার, মাথার ছাদ সুনিশ্চিত করছে। ঘাটল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নিজের দায় এড়িয়ে বাংলাকে কেবল বঞ্চিতই করছে না, পাশাপাশা দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকেও ভেঙে দিচ্ছে