উল্টোরথ: উন্মাদনায় ভাসছে দীঘা, বেলা দুটো নাগাদ গড়াতে পারে রথের চাকা

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:১১: আজ শনিবার উল্টোরথ। উন্মাদনায় ভাসছে দীঘা। শুক্রবার সকাল থেকেই সড়ক ও রেলপথে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়েছে দীঘায়। ভিড় থেকে অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স থাকছে। এছাড়াও ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স, আটটি মেডিক্যাল বুথ, ১৬টি স্ট্রেচার নিয়ে যাওয়া হয়েছে দীঘায়। পিএইচই দপ্তর জগন্নাথ মন্দির থেকে মাসিরবাড়ি পর্যন্ত জাতীয় সড়কের ধারে পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখছে। এদিন সকাল থেকেই উৎসবমুখর দীঘা। ইন্দ্রনীল সেনের গাওয়া সেই ‘জয় জগন্নাথ’ গান বাজতে থাকে। সন্ধ্যার পর আলোয় ঝলমল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
মূল রথের মতোই বাঁশের ব্যারিকেডের মধ্য থেকে রথের রশি স্পর্শ করতে পারবেন ভক্তরা। গোটা রথযাত্রায় নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকবে প্রায় দেড় হাজার পুলিশ। এছাড়াও থাকবে ড্রোন এবং সিসি ক্যামেরা। আজ উল্টোরথের দিনও মাসির বাড়ি কমিটির তরফ থেকে ১০ হাজার মানুষকে অন্নপ্রসাদ বিতরণ করা হবে। ইতিমধ্যে সৈকত শহরে উল্টোরথে লক্ষাধিক মানুষের সমাগমের অনুমান করে সকলের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার বিকেলেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো দিঘায় পৌঁছে গিয়েছেন পাঁচ মন্ত্রী। তাঁরাই উল্টোরথ সঠিকভাবে পরিচালনা করবেন। আজ বেলা দুটো নাগাদ গড়াতে পারে রথের চাকা। তার আগে সকাল থেকে চলবে বিভিন্ন আচারবিধি এবং ভোগ অর্পণের কাজ। মূল রথের মতো উল্টোরথ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য শুক্রবার জগন্নাথ মন্দিরে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
যেখানে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সুজিত বসু, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং পুলক রায়। এছাড়াও ছিলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি এবং জেলা পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য। মূল রথের মতোই কড়া নিরাপত্তার বলয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা দিঘাকে।