দেশ বিভাগে ফিরে যান

ভোটার তালিকা নিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি – পিছু হটল EC?

July 6, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:১০: এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতি উত্তাল বিহারের এস আই আর প্রক্রিয়া নিয়ে। এবছরের শেষে অক্টোবর-নভেম্বরে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ অর্থাৎ ভোটার তালিকা সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন, যার জেরে বাতিল হতে পারে প্রায় ৩ কোটি ভোটার!

নির্দেশিকায় কি বলা হয়েছিল?

  • ২০০৩-এর ভোটার তালিকায় যাদের নাম ছিল, তাদের সমস্যা নেই।
  • ১৯৮৭ থেকে ২০০৪-এর মধ্যে যারা জন্মেছেন, তাদের নিজেদের এবং বাবা-মায়ের মধ্যে যে কোনও এক জনের জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে।
  • পাশাপাশি, গত লোকসভা নির্বাচনে তারা ভোট দিয়ে থাকলেও ছাড় নেই।
  • ২০০৪-এর পরে জন্ম হলে নিজের ও বাবা-মায়ের দু’জনেরই জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে।
  • সকলকে একটা করে ফর্ম দেওয়া হচ্ছে, সেগুলি ফিল আপ করে, নথি এবং ছবি-সহ যত দ্রুত সম্ভব বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও) কাছে জমা দিতে হবে।

এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। দেখা যাচ্ছে, বিহারের অধিকাংশ বাসিন্দার কাছে আধার কার্ড ছাড়া আর কোন নথি নেই। এই নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হতেই রবিবার নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। সেখানে বলা হয়েছে, এখনই নথি দিতে হবে না। যে ফর্ম দেওয়া হয়েছে, আগে সেটি পূরণ করে জমা দিতে হবে। নথি যা লাগবে, তা পরে দিলেও চলবে।

বুথ লেভেল অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, আপাতত তারা যেন দু’রকমের ফর্ম – নথি সহ আর নথি ছাড়া ফর্ম জমা নিয়ে নেন। সময়সীমা দেওয়া হয়েছে ২৬ জুলাই। এও বলা হয়েছে ১ ‌আগস্ট ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করা হবে। যাঁদের ফর্ম জমা পড়েছে, তাঁদের নাম সেই তালিকায় থাকবে।

ইতিমধ্যেই, এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস বা এডিআর। তাদের দাবি—এই প্রক্রিয়া শুধু অমানবিক নয়, বরং সংবিধানের মৌলিক অধিকার, বিশেষ করে নাগরিকের সম্মান ও গোপনীয়তার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরাও। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#election commission, #Bihar Electoral Rolls, #Bihar electoral rolls controversy

আরো দেখুন