দিনহাটায় দলের ভরাডুবির পরই তৃণমূলে যোগ দিতে ইচ্ছুক কোচবিহারের তিন বিজেপি বিধায়ক
বঙ্গ বিজেপি তে ভাঙ্গন অব্যাহত। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপি থেকে পদত্যাগ করার চেয়ে স্রোত শুরু হয়েছে তা আরও বেড়ে চলেছে। মুকুল রায় থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন জানান, জেলার ৩ BJP MLA ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার জন্য। তবে তাদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন গিরিন বাবু। তিনি বলেন দ্রুত পৌরসভা নির্বাচনের আগেই জেলার তিনজন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। রাজ্যস্তরে আলোচনা করা হয়েছে। সেখান থেকে গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ার পরেই তাদের দলে নেওয়ার কথা প্রকাশ করা হবে। তবে যারা দলে আসার আবেদন জানিয়েছেন তাদের দলে নেওয়া হলে জেলায় বিজেপির অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।
দিনহাটা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী উদয়ন গুহ রাজ্যে র নিরিখে সর্বাধিক ভোটে জয়লাভ করার পরই বিজেপি শিবিরে ভাঙ্গন ধরতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সহ কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে দিয়েছেন। বেশ কিছুদিন থেকেই জল্পনা চলছে BJP MLA বিধায়কদের মধ্যে কয়েকজন তৃণমূলে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। এদিন এই জল্পনাকে স্বীকৃতি প্রদান করে জেলা তৃণমূল সভাপতি গিরিন বাবুর এই বক্তব্য।
তবে কারা আসছেন এই নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে , বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক এবং জেলা বিজেপির সংগঠনের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব ক্রমেই জোরালো হয়েছে। সেই কারণেই নিশীথ প্রামাণিকের একনায়কতন্ত্র মানতে নারাজ বিজেপি শিবির ধীরে ধীরে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছেন। হয়তো এই কারণেই BJP MLA বিধায়কদের একাংশ তৃণমূলের দিকে আকর্ষণ অনুভব করছেন। বর্তমানে নয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৬ টি আসন রয়েছে BJP শিবিরে। তিনজন তৃণমূল শিবিরে যোগদান করলে সংখ্যাটি তৃণমূল শিবিরে ৬ এসে দাঁড়াবে।
যদিও বা জেলা বিজেপি সভানেত্রী মালতি রাভা রায় বলেছেন, “বিজেপি থেকে কেউ তৃণমূল শিবিরে যাচ্ছে না। এসমস্ত তাই মিথ্যে প্রচার।”