লকডাউনে খুশি চা শ্রমিকরা
করোনা সংক্রমনের এই কঠিন সময়ে লকডাউনের জেরে চা পাতা তোলার কাজ প্রায় বন্ধ হতে বসেছিল। দুশ্চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছিল নুন আনতে পান্তা ফোরানো চা শ্রমিকদের।
কিন্তু লকডাউনের ৫৬ দিন পরেও দিব্যি আছে মানুষগুলোর মুখের হাসি। তারা বলছেন, ‘সব আশঙ্কা মিথ্যা হয়েছে। লকডাউন আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।’ আর তার কারণ রাজ্য সরকারের বিনামূল্যের রেশন। ঘরে ঘরে দিব্যি মজুত আছে চাল।
আগে চা বাগানের রেশন নিয়ন্ত্রণ করত সেই চা বাগানের ম্যানেজার। কিন্তু অতিমারী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রেশনের দায়িত্বে রয়েছে খোদ রাজ্য সরকার। ফলে কারচুপির কোন সুযোগ নেই। সময়ে রেশন সামগ্রী না পেলে খোঁজও নেওয়া হয় সরকারের তরফ থেকে। আগে এই মানুষগুলো জানতেই পারতেন না তাদের প্রাপ্য ঠিক কতটা।
লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরেই চা শ্রমিকদের জীবন জীবিকার ওপর ভয়ংকর প্রভাব পড়বে, এমনই আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এই মানুষগুলোকে সুরক্ষিত রাখতে রাজ্য সরকার পাক্ষিক বেতন এবং রেশনের ব্যবস্থা করেছে। তাই এখন অনেকটাই স্বস্থিতে চা শ্রমিকরা।