কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও ভোট লুট হলে তৃণমূল কর্মীদের যোগ্যতা অমিত শাহের থেকে বেশি: দেবাংশু
ত্রিপুরায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সরকার গড়বে। ফের আত্মবিশ্বাসী সুর শোনা গেল তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের গলায়। বৃহস্পতিবার গারুলিয়ায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে দেবাংশু স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, ‘পুরসভা নির্বাচনে যদি ওরা (বিজেপি) ভোট করায়, তাহলে একটা ট্রেলার দেখতে পাবেন।’
বৃহস্পতিবার গারুলিয়ায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে ঐক্যতান ক্লাবে এসেছিলেন দেবাংশু। সেখানেই তাঁকে ত্রিপুরায় তৃণমূলের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন। সেই প্রশ্নের উত্তরে দেবাংশু জানান, ‘ত্রিপুরায় খেলা চলছে। ত্রিপুরায় ২০১৪ সালে আমরা সরকার করছি। লড়াই শুরু হয়ে গেছে। বাংলায় জনতা গ্যালারিতে ছিল। আর হাওয়াই চপ্পল পরা মহিলা খেলছেন। কিন্তু ত্রিপুরায় মানুষ মাঠে নেমে খেলবেন। মানুষ যখন নিজেরাই মাঠে নেমে খেলবেন, তখন বিপ্লববাবুদের কপালে খুব দুঃখ আছে।’
ত্রিপুরায় বিজেপি সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেন দেবাংশু। তিনি জানান, ‘শহরের মধ্যেই ওরা সন্ত্রাস করছে। তাহলে বাইরে ভাবুন। যদি শহরের মধ্যে সন্ত্রাস করতে পারে, তাহলে বাকি জায়গার কথা ভুলেই যান। আমাদের সঙ্গে খোয়াই, আমবাসায় যা হয়েছে, তারপরও কী আপনার মনে হয়, বিরোধীদের ওরা মাথা তুলে দাঁড়াতে দেবে?’ তারইমধ্যে তিনি বলেন, ‘আগরতলায় তৃণমূল ৫১টি আসনেই প্রার্থী দিতে পেরেছে। বামেরা ভয়ে প্রার্থী তুলে নিয়েছে। কিন্তু আমরা তুলিনি।’
বিজেপির তৃণমূলের বিরুদ্ধে করা সন্ত্রাসের অভিযোগকেও উড়িয়ে দিয়েছেন দেবাংশু। তাঁর কথায়, ‘একটা কথা আছে, নাচতে না জানলে উঠান ব্যাঁকা। সিআরপিএফ দিয়ে তো ভোট হয়েছে। রাজ্য পুলিশ দিয়ে তো করায়নি। আর সিপিএমের মতো কেশপুরে হোমওয়ার্ক করেও ভোট হয়নি। ভোট তো কেন্দ্রীয় বাহিনী করেছে। তারপরও যদি তৃণমূলকর্মীরা ভোট লুঠ করতে পারে, তাহলে তো অমিত শাহের থেকে তৃণমূল কর্মীদের যোগ্যতা বেশি। তার পুলিশ পারছে না। আর তৃণমূল কর্মীরা পেরে যাচ্ছেন? তাহলে তৃণমূল কর্মীদের সিআরপিএফে চাকরি দিন। ওদের তাহলে বাদ দিন।’