ত্রিপুরায় শাসক দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক বিজেপি বিধায়ক
আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় পুরসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচন রয়েছে। তা নিয়ে বিজেপি–তৃণমূল কংগ্রেস প্রস্তুতি চরমে। শুরু হয়েছে হিংসা থেকে নানা অপরাধের ঘটনা। ইতিমধ্যেই চার থানার পুলিশ কর্তারা মিলে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষকে দফায় দফায় জেরা করেছে। ঠিক তারপরেই ত্রিপুরা পুলিশের ডিজি–কে চিঠি লিখলেন বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ। আর এই চিঠিই এখন উত্তর– পূর্ব রাজ্যে তুমুল চর্চার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পুরসভা নির্বাচন নিয়েই তিনি পুলিশকে চিঠিতে লিখেছেন, আগরতলা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডকে উত্তেজনাপ্রবণ এবং স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করেছে। তাই পুরনির্বাচনকে সামনে রেখে আপনারা বিষয়টির দিকে নজর দিন। সুদীপের এই চিঠি কার সুবিধা করে দিচ্ছে? বলে প্রশ্ন উঠেছে। যদি বিজেপির পক্ষ থেকে এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
ঠিক কী লিখেছেন চিঠিতে? বিজেপি বিধায়ক সুদীপ লিখেছেন, ‘ভোটাররা ক্রমাগত হুমকি পাচ্ছেন। যা আমাকে ব্যাথিত করে। পুলিশের উপর থেকে দ্রুত মানুষ আস্থা হারাচ্ছে। অপরাধী এবং দুষ্কৃতীরা নিজেদের হাতে আইন তুলে নিচ্ছে, যেখানে পুলিশকে চাপে পড়তে হচ্ছে। একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে আপনার এবং পুলিশের উপর আমার ভরসা আছে। আশা করি মানুষের আস্থা পুনরুদ্ধারে আপনারা উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’ ত্রিপুরায় দেখা গিয়েছে বারবার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রী–সাংসদরা আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানে পুলিশকে নীরব দর্শকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। আর সেখানে এই চিঠি পুরসভা নির্বাচনের আগে বেশ তাৎপর্যপূ্র্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ত্রিপুরার ডিজি–কে তিনি চিঠিতে আরও জানিয়েছেন, এখানে হিংসা বাড়ছে। বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ প্রার্থী হয়েছেন। তাঁদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী প্রকাশ্যে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়কে ভোট না দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এমন আরও অভিযোগ রয়েছে। তাই পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। যা বিজেপির বিপক্ষেই যাচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।