বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধির বিরোধিতায় প্রস্তাব পাশ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়
বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতায় রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ। ভোটাভুটিতে প্রস্তাব পাশ। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন তৃণমূলের ১১২ জন বিধায়ক। প্রস্তাবের বিরোধিতায় ভোট দিয়েছেন বিজেপির ৬৩ জন বিধায়ক। ISF বিধায়ক নৌসাদ সিদ্দিকি কোথায় ভোট দিয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি। তবে তিনি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন বলেই সূত্রের খবর।
সম্প্রতি সীমান্তে বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়িয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে বিএসএফের এক্তিয়ারের বিরোধিতা করে আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করে সরকার। বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয়। শাসক-বিরোধী তরজায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। শেষে ভোটাভুটিতে প্রস্তাব পাস হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন তৃণমূলের ১১২ জন বিধায়ক। প্রস্তাবের বিরোধিতায় ভোট দিয়েছেন বিজেপির ৬৩ জন বিধায়ক।
আলোচনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “বিএসএফ মানে বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের সেনা মনে করা হচ্ছে। বিএসএফ-এর মতো দেশভক্ত একটা সংগঠনকে যেভাবে সমালোচনা করছেন তাতে মনে হচ্ছে যেন আমরা বাইরের কোথাও দাঁড়িয়ে কথা বলছি। দার্জিলিংয়ে তাণ্ডবের সময় সেনা নেমেছিল। বিএসএফের জন্য পুলিসের ক্ষমতা কোথাও খর্ব করা হয়নি।
কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন গুজরাটে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত এক্তিয়ার করেছিল। আমরা বলব এবারও এক্তিয়ার ৫০ নয় ৮০ কিলোমিটার করা উচিত।”
পাল্টা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সীমান্ত যাঁদের দেখার কথা তাঁরা সম্পূর্নভাবে ব্যর্থ। কেন্দ্রীয় সরকার পিছনের দরজা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে খবরদারি করতে চাইছে। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।”