লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন, উত্তরপ্রদেশে অখিলেশের সঙ্গে জোটের ইঙ্গিত মমতার
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রত্যাবর্তন যেনতেন প্রকারেন আটকানোর মরিয়া চেষ্টায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাই বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে সর্বভারতীয় দল হিসেবে তুলে ধরায় প্রয়াস শুরু হয়েছে ত্রিপুরা থেকে৷ ক্রমে গোয়া এবং হরিয়ানার পর তৃণমূল নেত্রীর মিশন এখন উত্তরপ্রদেশ৷
আগামী বছর উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন৷ ২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি এবং বিরোধী দলগুলির কাছে যা সেমিফাইনাল ম্যাচ৷ সেই উত্তরপ্রদেশে গেরুয়া শিবিরকে ধরাশায়ী করতে অখিলেশ যাদবের সঙ্গে জোটের ইঙ্গিত দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী৷ সেখানেই তিনি জানান, উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে অখিলেশ যাদবকে সাহায্যে প্রস্তুত তৃণমূল কংগ্রেস৷ মমতা বলেন, ‘অখিলেশের যদি আমাদের সাহায্যের প্রয়োজন হয় তবে আমরা সেটা করতে প্রস্তুত৷’
আগামী সপ্তাহে মমতা যাবেন মহারাষ্ট্রে৷ আগামী এপ্রিল মাসে বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে উদ্যোগপতিদের আমন্ত্রণ জানাবেন তিনি৷ তৃণমূল নেত্রীর ওই সফরও রাজনৈতিক দিক থেকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে৷ কেননা মহারাষ্ট্রে গিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করবেন৷ সেকথাও মমতা এদিন সাংবাদিকদের জানান৷ তিনি বলেন, ‘৩০ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রে থাকব৷ তখন উদ্ধব ঠাকরেজি এবং শরদ পাওয়ারজির সঙ্গে দেখা করব৷’
দিল্লি এলে মমতা চেষ্টা করেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার৷ কিন্তু এবার দশ নম্বর জনপথের দিকে পা বাড়াননি তিনি৷ এ নিয়ে প্রশ্ন করায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কিছুটা মেজাজ হারিয়েই বলেন, ‘দিল্লি এলেই কি প্রতিবার ওদের সঙ্গে দেখা করতে হবে? এরকম বাধ্যবাধকতা আছে?’ পরে মমতা জানান, পঞ্জাব ভোট নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তিনি সময় চাননি৷ কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মতে, সম্ভবত সোনিয়া-মমতা সম্পর্কে কিছুটা চিড় ধরেছে৷ হতে পারে কংগ্রেস থেকে নেতাদের ভাঙিয়ে তৃণমূলে নিয়ে যাওয়াটা সোনিয়ার ভালো লাগেনি৷
অপরদিকে, বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে কংগ্রেসের ঝাঁজ কম নিয়েও সরব তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা৷ খোদ মমতাও এ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন৷ বলেছেন, কংগ্রেসের জন্যই মোদীর শক্তিবৃদ্ধি৷ তিনি প্রতিটি রাজ্যকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার ডাক দিয়েছেন৷ তৃণমূলই পারে বিজেপিকে আটকাতে এই বার্তা-ডেরেক ও’ব্রায়েন থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়- দলের শীর্ষ স্তর থেকে প্রচার করা শুরু হয়েছে৷ তাছাড়া বিরোধী দলগুলির মধ্যে একমাত্র মমতাই পেরেছেন মোদী-শাহকে হারের স্বাদ দিতে৷ তাই বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে মমতার উত্থান সোনিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের৷