কলকাতা পুরভোটে কোভিড আক্রান্তদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের
কলকাতা পুরভোটে কোভিড আক্রান্তদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাঁদের ভোটগ্রহণের জন্য থাকছে আলাদা সময়। থাকবে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবাও। এ জন্য কোভিড রোগী চিহ্নিত করার কাজও শীঘ্রই শুরু করছে কমিশন। এ ছাড়া ভোটের আগে শিবির করে ভোটারদের টিকাকরণের উপরও জোর দেওয়া হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভায় ভোট। কোভিড পরিস্থিতিতে ভোট নেওয়ার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। সোমবার স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে প্রাথমিক ভাবে তারা একটি বৈঠকে করে। সেখানেই স্থির হয়, স্বাস্থ্য দপ্তর ওয়ার্ডভিত্তিক করোনা পরিসংখ্যান তুলে দেবে কমিশনের হাতে। সেই অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নেবে। আপাতত কমিশন জানিয়েছে, প্রতি বুথে মাস্ক, ডান হাতে গ্লাভস, স্যানিটাইজার এবং তাপমাত্রা পরিমাপের যন্ত্র রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়া করোনা আক্রান্তদের বুথে নিয়ে যাওয়ার জন্য থাকছে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা। তাতে করেই করোনা আক্রান্ত ভোটাররা ভোট দিতে যেতে পারবেন।
কমিশনের এক আধিকারিক জানান, কলকাতার পুরসভার প্রতিটি বরোতে রাখা হবে তিনটি করে অ্যাম্বুল্যান্স। মোট ১৬টি বরোর জন্য ৪৮টি অ্যাম্বুল্যান্স থাকবে। কোনও করোনা রোগী বুথে এসে ভোট দিতে চাইলে কমিশনের অ্যাম্বুল্যান্স বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। এ ছাড়া তাঁদের জন্য থাকছে পৃথক ভোটদানের সময়। করোনা আক্রান্তরা বিকেল ৪টে থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট দিতে পারবেন।
প্রতিটি বরোতে নয়টি করে ওয়ার্ড। অর্থাৎ তিনটি ওয়ার্ড পিছু একটি অ্যাম্বুল্যান্স। প্রশ্ন উঠছে, কয়েক হাজার ভোটারের মধ্যে ওই অল্প সংখ্যক অ্যাম্বুল্যান্স বরাদ্দ হলে সব করোনা রোগীর জন্য কি তা সহজলভ্য হবে? সোমবারের বৈঠকে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানান, এখন কলকাতায় গড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০০-র কাছাকাছি। আবার তার মধ্যে অনেকেই ভোট দিতে যাবেন না কিংবা ভোটার নন এমনও রয়েছেন। ফলে ৪৮টি অ্যাম্বুল্যান্সই পর্যাপ্ত। তা ছাড়া তার আগে কোভিডের একটি তথ্যও জমা করছে কমিশন। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ভোটগ্রহণের দিন অবধি কলকাতায় কত জন ভোটার কোভিড পজিটিভ রয়েছেন তা তারা নজরে রাখবে। তার পরেই সব দিক বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
ভোটারদের টিকাকরণের উপরও জোর দিচ্ছে কমিশন। টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য ভোটের তিন দিন আগে থেকে বিশেষ ক্যাম্প শুরু করবে তারা। কমিশন জানাচ্ছে, প্রতি সেক্টর অফিসে একটি করে ক্যাম্প হবে। সেখান থেকেই টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন ভোটাররা।