রেশনে চাই ডাল – নাফেডকে চিঠি রাজ্যের
রেশনের মাধ্যমে বন্টনের জন্য বিভিন্ন জেলায় ডাল পাঠানোর ব্যবস্থা করতে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা নাফেডকে চিঠি দিল রাজ্য খাদ্য দপ্তর। খাদ্য দপ্তরের পাঠানো চিঠিতে কোন জেলায় কোন গুদামে কী পরিমাণ ডাল পাঠাতে হবে তা উল্লেখ করা হয়েছে। মে এবং জুন মাসে বরাদ্দ ডাল জেলাগুলিতে পাঠাতে বলা হয়েছে।
জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় থাকা প্রায় ৬ কোটি ২ লক্ষ রেশন গ্রাহকের জন্য মাসে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার টন ডাল লাগবে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার আওতায় গ্রাহকদের মাসে মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল ও পরিবার পিছু ১ কেজি করে ডাল দেওয়ার ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকার মার্চ মাসের শেষে লকডাউন শুরুর পরেই করেছিল। তিন মাস ধরে এটা দেওয়ার কথা। এই প্রকল্পে অতিরিক্ত চাল দেওয়া মে মাস থেকে শুরু হয়েছে। কিন্তু ডাল দেওয়া নিয়ে জটিলতা এখনও কাটেনি।
রাজ্য সরকার চাইছে, তিন মাসের ডাল সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ার পর তবেই তা রেশনে বন্টন শুরু করা হোক। তা না হলে এক মাস দেওয়ার পর সরবরাহ না এলে ডাল নিয়ে গোলমাল শুরু হওয়ার আশঙ্কা আছে। কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা নাফেডকে সব রাজ্যে ডাল সরবরাহ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার এখানকার রেশন দোকানে সরবরাহ করার জন্য মুসুর বা মুগ ডাল চেয়েছিল।
কিন্তু মুসুর ডাল সরবরাহ করতে সংস্থা সমস্যায় পড়েছে। ওই ডাল যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে না সম্প্রতি সংস্থার একটি চিঠিতে তা মেনেও নেওয়া হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মুগ ডালও মিলে ভেঙে সরবরাহ করতে পারা যাচ্ছে না বলে সংস্থা জানিয়েছে। বিকল্প হিসেবে গোটা মুগ, ছোলা প্রভৃতি ডাল সরবরাহ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। কারণ হিসেবে রাজ্যের মানুষের খাদ্যাভাসের কথা বলা হয়।
এখনও পর্যন্ত এক মাসের মুসুর ডাল রাজ্যে নিয়ে আসতে পেরেছে নাফেড। সংস্থার কয়েকটি গুদামে ওই ডাল মজুত করা হয়েছে। এবার ওই ডাল জেলাগুলিতে পাঠাতে বলল খাদ্য দপ্তর। খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কী পরিমাণ ডাল জেলাগুলিতে নাফেড পাঠাতে পারছে তার উপরে নির্ভর করছে জুন মাসে তা রেশনের মাধ্যমে বন্টন করা হবে কিনা।