সিপিআইএমের জেলা কমিটি থেকে বাদ পরে আক্ষেপের সুর অশোক ভট্টাচার্যের গলায়
কয়েকদিন আগেই সিপিআইএমের দার্জিলিং জেলা কমিটির সদস্যপদ থেকে সরানো হয়েছে অশোক ভট্টাচার্যকে। দলের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিলেও অবশ্য কিছুটা অভিমানের সুর শোনা গিয়েছে অশোক ভট্টাচার্যের কন্ঠে। এ বিষয়টিকে তিনি ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করলেন । তিনি বলেন, ‘ খুব খারাপ লাগছে। দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে কাজ করেছি। আরও কিছুদিন দলের সঙ্গে কাটাতে পারলে ভালো লাগত।’
যদিও সিপিআইএমের দাবি, তাঁকে সরানো হয়েছে বয়সজনিত কারণে। দলের নিয়ম মেনে তাঁকে সদস্যপদ থেকে সরানো হয়েছে। দলের এই সিদ্ধান্তকে মেনেও নিয়েছেন অশোক ভট্টাচার্য। প্রায় ৪০ বছর ধরে সিপিআইএমের সঙ্গে যুক্ত বর্ষীয়ান নেতা। শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র, চেয়ারম্যান, পুরমন্ত্রী এবং বিধায়কের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। কয়েক বছর আগেই মারা গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। এই অবস্থায় দল থেকে কমিটির সদস্যপদ থেকে সরানোর ফলে নিজেকে একা মনে করছেন অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন,’ দলের নিয়ম। কী করা যাবে! এতদিন বিরোধীদের চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছি। বয়স কোনও সময় বাধা হয়নি। রত্না চলে গেল, আমিও জেলা কমিটি থেকে থেকে বাদ পড়লাম। অদ্ভুত লাগছে। ‘
সিপিএমের একাংশের মতে, ‘অশোক ভট্টাচার্য একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। তৃণমূলের আমলেও পুরসভা বিধানসভা এবং মহাকুমা পরিষদে বামেরা জিতেছে। এমনকী শিলিগুড়িতে ভোটের প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশোক ভট্টাচার্যের প্রসঙ্গ তুলে ভোটে লড়ার কথা বলেছিলেন। তা সম্ভব হয়েছে অশোক ভট্টাচার্যের অভিজ্ঞতার কারণে।’