‘ঘুড়ি যতই উড়ুক, লাটাই তো আমার হাতেই’ মদনকে নিয়ে কে বললেন এ কথা?
এমনি এমনি কি আর তাঁকে ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ বলা হয়? একেবারে অসাধ্যসাধন করে দেখালেন রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Rachana Banerjee)। আজ পর্যন্ত আমজনতা যে দৃশ্য দেখার সুযোগ পাননি, রচনার সৌজন্যেই এবার তার সাক্ষী থাকবে বাঙালি। প্রথমবার কোনও শোয়ে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে হাজির ‘রঙিন ছেলে’ মদন মিত্র।
মঙ্গলবার ‘দিদি নাম্বার ওয়ানে’র সেটে হাজির হয়েছিলেন মদন মিত্র। সেখান থেকেই ফেসবুক লাইভে রসিকতা করে কামারহাটির বিধায়ক জানান, তিনি যখনই যে অনুষ্ঠানে যান, আশপাশে একাধিক সুন্দরীর ভিড় থাকে। কখনও টলিপাড়ার অভিনেত্রী তো কখনও সুন্দরী মহিলা প্রার্থী। কিন্তু কখনওই পাশে স্ত্রীকে দেখা যায় না। অনেকে তাঁকে এ নিয়ে প্রশ্নও করেন। অবশেষে সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটালেন মদন মিত্র। প্রথমবার কোনও রিয়ালিটি শোয়ের মঞ্চে স্ত্রী অর্চনার হাত ধরেই হাজির হলেন। মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, “রচনার শো’তেই প্রথমবার স্ত্রীকে নিয়ে এলাম।” সঙ্গে অভিমানের সুরে যোগ করেন, “ভাবতাম, রাজনীতি করি বলে মনে হয় আমাদের ডাকা হয় না। মনখারাপও হত। তবে আজ আর আমার কোনও অভিমান নেই!’’
শোয়ের শুটিংয়ে হাজির তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়ও। মদন মিত্রর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আসা প্রসঙ্গে বলেন, “সেদিক থেকে দেখলে কিন্তু দিদি নাম্বার ওয়ানে ইতিহাস তৈরি হল।” এই কথাবার্তার মধ্যেই ডেকে নেওয়া হয় মদনপত্নীকে। অর্চনা মিত্রকে রচনা জড়িয়ে ধরে বলে দেন, “ইনিই কিন্তু আসলে মদনদার জীবনের ওহ লাভলি।” এরপরই রচনা প্রশ্ন করেন, “দাদার চারপাশে তো এত সুন্দরীদের ভিড়। আপনি কখনও থাকেন না। ভয় হয় না?” রসিকতায় স্বামীর থেকে একেবারেই কম যান না স্ত্রীও! হাসি মুখে জবাব দেন, ‘‘ঘুড়ি যতই উড়ুক, লাটাই তো আমার হাতেই!’’
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে শুটিংয়ের বেশ কিছু মূল্যবান মুহূর্তের ছবিও পোস্ট করেছেন মদন মিত্র। সঙ্গে দর্শকদের জানিয়েছেন, তাঁর জীবনের আরও গল্প শুনতে হলে আগামী ২১শে ডিসেম্বর ঠিক বিকেল ৫ টায় চোখ রাখতে হবে জি বাংলার পর্দায়। গায়ক ও রাজনীতিবিদদের নিয়ে দিদি নাম্বার ওয়ানের (Didi Number 1) সেই পর্ব যে স্পেশ্যাল হতে চলেছে, তা বলাইবাহুল্য।