পরিযায়ীর ঢল, নমুনা নিলেও পরীক্ষায় দেরী
আশঙ্কাটা ছিলই। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির নিরিখে, আম্পান ও পরিযায়ীর জোড়া ফলায় যে এত তাড়াতাড়ি বিদ্ধ হতে চলেছে বাংলা, তা বোঝা যায়নি কয়েক দিন আগেও। বাঁধভাঙা জলের মতো দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এ রাজ্যের পরিযায়ীরা ঘরে ফিরতে শুরু করতেই বেনজির ভাবে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া বুলেটিনে দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪৪ জন কোভিড পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন, দৈনিক সংখ্যার হিসেবে যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ফলে এক সপ্তাহের মাথায় প্রায় দেড় হাজার বৃদ্ধি পেয়ে বাংলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫৩৬।
স্বাস্থ্যভবনের একাধিক সূত্রের দাবি, এই ছবিটা আগামী দিনে আরও অনেক বেশি ভয়াবহ হতে চলেছে। কেননা, বর্তমানে রাজ্যের ৩৮টি ল্যাবে অন্তত ৪৫ হাজার সোয়াব নমুনা পড়ে রয়েছে অপরীক্ষিত অবস্থায়। এই সব নমুনার সিংহভাগই পরিযায়ীদের। এগুলির রিপোর্ট আসতে শুরু করলে বাংলায় করোনা-আক্রান্তের সংখ্যাটা যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা কল্পনাতীত।
এ দিকে আম্পানের পর কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর একটা বড় অংশই বিপর্যস্ত। অন্যান্য জেলার অনেক সরকারি কর্মী-আধিকারিককেও পরিস্থিতি সামলাতে এই পাঁচটি জেলায় আনা হয়েছে। এমন সন্ধিক্ষণেই বুধবার থেকে দ্বিতীয় দফায় ফের পরিযায়ী বোঝাই ট্রেন রাজ্যে ঢুকতে শুরু করেছে লাগাতার। ফলে স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশের আশঙ্কা, দু’ থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হেলায় যেতে পারে ১০ হাজারের গণ্ডিও।