অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের নির্বিচার প্রয়োগ নিয়ে ইডিকে তুলোধোনা সুপ্রিম কোর্টের
অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের নির্বিচার প্রয়োগ নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কে তুলোধোনা করল সুপ্রিম কোর্ট । দেশের শীর্ষ আদালতেরও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রকে। বুধবার ‘প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’ সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘যে ভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে অর্থপাচার প্রতিরোধ মামলা প্রয়োগ করা হচ্ছে, তাতে আইনটি লঘু হয়ে যাবে।’
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা, বিচারপতি এএস বোপান্না ও বিচারপতি হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চে এদিন দু’টি পিএমএলএ মামলার শুনানি চলছিল। মামলার দুই আবেদনকারীই পিএমএলএ-তে অভিযুক্ত। শুনানি চলাকালীন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজুর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি রামানা বলেন, ‘আপনারা তো পিএমএলএ-কে গুরুত্বহীন করে ফেলছেন।’ প্রধান বিচারপতিকে সেসময় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ বলেই মনে হয়। প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার কথায়, ‘শুধু এই মামলার কথা বলছি না। আপনারা যদি ১০ হাজারা টাকা ও ১০০ টাকার মামলাকেও অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেন, তা হলে কী হবে? সকলকে তো গারদে রাখতে পারবেন না। তাই আইনের এই ধারা প্রয়োগের আগে আরও ভাবনাচিন্তা করা উচিত। যেখানে পিএমএলএ ধারা প্রয়োগের সংযত কারণ থাকবে, সেখানে দিতে হবে।’
এখানেই না-থেমে ইডির উদ্দেশে সুপ্রিম বিচারপতি বলেন, ‘প্রতিটি মামলাতেই যদি আপনারা পিএমএলএ ধারা দিতে থাকেন, তা হলে তো আইনটার অপব্যবহার হয়। আসল উদ্দেশ্য সম্পন্ন হয় না। এটা কাজ করার কোনও পদ্ধতি নয়।’ প্রথম মামলায় পিএমএলএ ধারায় অভিযুক্ত নরেন্দর কুমার পটেলের আগাম জামিনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হয় ইডি। পটেলকে আগাম জামিন দিয়েছিল তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট। দ্বিতীয় মামলাটির পিটিশনার উষা মার্টিন লিমিটেড। ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট জামিন দিতে অস্বীকার করেছিল। পরবর্তী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত আবেদনকারী সুরক্ষাকবচ দিয়েছে সুপ্রিম বেঞ্চ।