রক্তের রাজনীতি কেরলে! হত্যা করা হল এসডিপিআই ও বিজেপি কর্মীদের
১২ ঘণ্টার ব্যবধানে কেরলে (Kerala) দুই রাজনৈতিক নেতার খুন ঘিরে ঘনাল চাঞ্চল্য। শনিবার সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এক নেতার হত্যার পরে রবিবার ভোরে বিজেপি (BJP) নেতা ও দলের ওবিসি মোর্চার রাজ্য সচিব রণজিৎ শ্রীনিবাসনকে তাঁর বাড়ি ঢুকে খুন (Murder) করল দুষ্কৃতীরা। যার জেরে রাজ্যের আলাপ্পুজা জেলায় জারি ১৪৪ ধারা।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে রোজকার মতোই প্রাতঃভ্রমণে বেরচ্ছিলেন ওই জনপ্রিয় বিজেপি নেতা। ঠিক তখনই তাঁর বাড়ি চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও মা। তাঁদের সামনেই তাঁকে মারধর করতে থাকে আততায়ীরা। এরপর তাঁর গলা কেটে দেয় তারা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই নেতার। সকালেই ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল, শনিবারই সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া তথা SDPI নেতা ও দলের রাজ্য সচিব কে এস খানকেও খুন করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। বাড়ি ফেরার পথে তাঁর উপরে চড়াও হয় তারা। ওই খুনে বিজেপি-আরএসএস জোটের দিকে আঙুল তুলেছেন দলের রাজ্য সভাপতি মুভাত্তুপুজা আশরফ মৌলবি। সংবাদমাধ্যমের সামনে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, যদি আরএসএস ও বিজেপি এই ধরনের হামলা থেকে নিবৃত্ত না হয়, তাহলে তাদের কড়া জবাব দেওয়া হবে।
দুই হত্যারই তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যের সিনিয়র কংগ্রেস নেতা ও কেরলের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমমন্ত্রী রমেশ চেন্নিথালা। তিনি বলেন, ”বিজেপি ও এসডিপিআইয়ের উচিত এই ধরনের খুনোখুনির প্রতিশোধে মেতে না উঠতে। এটা রাজনীতি নয়।” তিনি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন রাজ্যের শাসক দল ও পুলিশের উপরে। তাঁর মতে, রাজ্যে এভাবে প্রতিহিংসার ঘটনা ঘটছে অথচ পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে।