আয়করের নয়া রিটার্ন ফর্ম ঘোষণা
গত ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যক্তিগত আয় ও করের হিসাব দাখিলার জন্য নতুন রিটার্ন ফর্ম প্রকাশ করল আয়কর দপ্তর। ওই রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা আগেই ৩১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। লকডাউনের কারণে যে সমস্ত করদাতা ২০১৯-২০ অর্থবছরে কর সাশ্রয়ের জন্য বিনিয়োগ করে উঠতে পারেননি, ৩০ জুনের মধ্যে তাঁরা ওই বিনিয়োগ করলে করছাড়ের সুবিধাও রিটার্নে দাবি করতে পারবেন।
নতুন রিটার্ন ফর্ম নিয়ে আয়কর দপ্তর যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সেখানে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরে কেউ যদি ব্যাঙ্কের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ১ কোটি টাকা জমা করে থাকেন অথবা ১ লক্ষ টাকার বেশি বিল মিটিয়ে থাকেন অথবা বিদেশ ভ্রমণে ২ লক্ষ টাকা বা তার বেশি খরচ করে থাকেন, তবে তাঁকে করযোগ্য আয় না থাকলেও আয়কর রিটার্ন দাখিল করতেই হবে।
এপ্রিল-জুন পর্বে করদাতা কত টাকার ডোনেশন বা বিনিয়োগ করেছেন যার জন্য তিনি গত অর্থবছরের জন্য করছাড় দাবি করছেন তা পৃথকভাবে উল্লেখ করতে হবে নতুন আইটিআর ফর্মে। নতুন আয়কর রিটার্ন ফর্মে DI নামে একটি নতুন তফশিল যোগ করা হয়েছে যেখানে করছাড় পেতে করদাতাকে ৩০ জুন অবধি তাঁর বিনিয়োগ, আমানত এবং লেনদেনের হিসাব দাখিল করতে হবে।
কর উপদেষ্টা সংস্থা নাঙ্গিয়া অ্যান্ডারসেন কন্সাল্টিংয়ের ডিরেক্টর শৈলেশ কুমার বলেন, ‘২০২০-২১ অ্যাসেসমেন্ট বছরের জন্য সংশোধিত আয়কর আইন অনুযায়ী নতুন আয়কর রিটার্ন ফর্মে বিভিন্ন আয় ও ব্যয়ের বিস্তারিত ঘোষণার সংস্থান করা হয়েছে। ফলে, করদাতাদের সেই জায়গাগুলি ভালো করে পড়ে, উপযুক্ত তথ্য দাখিল করে তবেই রিটার্ন জমা দেওয়া উচিত। না হলে ওই রিটার্ন গ্রাহ্য নাও হতে পারে।’
তবে, নতুন রিটার্ন ফর্মে বেশ খানিকটা সুবিধা পাবেন বাড়ির যৌথ মালিকরা। কেননা, তাঁরাও এ বার ‘সহজ’ বা ‘সুগম’ ফর্মে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। এই ফর্মগুলি পূরণ করা সবচেয়ে সহজ।