রাজ্য বিজেপির অসন্তোষ, অষ্টরম্ভা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দায় সারল পাঠ দিয়েই
বিজেপির রাজ্য কমিটিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নেই। আবার ৩০টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিকে সরানো পছন্দ হয়নি অনেকের। তাই একদিকে পাঁচ বিজেপি বিধায়ক বিদ্রোহ দেখিয়ে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। এই একই পদ্ধতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাঁকুড়ার বিধায়করাও। পাশাপাশি ভার্চুয়াল বৈঠকে বিদ্রোহ করে বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছেন স্বয়ং রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। এই সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এবার সতর্ক করলেন কেন্দ্রীয় নেতা বিএল সন্তোষ।
কলকাতায় এসে দলের বৈঠকে এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, বৈঠকে অংশ নেওয়া যাবে। কিন্তু বিদ্রোহ করা যাবে না। পছন্দ না হলে চুপ করে থাকার কথাও বলেছেন তিনি। বৈঠক চলাকালীন কোনও বিদ্রোহ–বিপ্লব বরদাস্ত করা হবে না বলে কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। যা নিয়ে দলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাজ্য নেতাদের নিয়ে নয়াদিল্লিতে বৈঠক করেছিলেন বিএল সন্তোষ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ এবং সুকান্ত মজুমদার। আর রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। সেখানে এই কেন্দ্রীয় নেতা বুঝিয়ে দেন, এবার পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে সংগঠন তৈরির পরিকল্পনা করছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
ঠিক কী বলেছেন এই কেন্দ্রীয় নেতা? বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের তিনি বলেন, ‘রাজ্যের বৈঠকে প্রয়োজনের বেশি কথা বলা উচিত নয়। জেলার বৈঠকে, মণ্ডল বৈঠকে আলোচনার সময় চুপ করে থাকেন অনেকে। অথচ সমালোচনা করতে ছাড়েন না! এটা ঠিক নয়। আমরা দীর্ঘ সময় বাংলায় থাকতে এসেছি। কেউ ভাবতে পারেন আমি পাঁচ বছরের জন্য বিধায়ক, আমি ৬ বছরের জন্য রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছি। কিন্তু আমরা অনেক লম্বা সময়ের জন্য থাকতে এসেছি। কারও বয়স হয়ে গেলে তিনি অবসর নিতে পারেন। কিন্তু তাঁদের উত্তরাধিকারীরা এখানে রয়ে যাবেন।’
এই বৈঠকে নানা উদাহরণ তুলে আনেন বিএল সন্তোষ। তারপর তিনি বলেন, ‘সংযম চাই। সঠিক জায়গায় গিয়ে কথা বলব। সামনের মানুষটা ভুল করলেও সঙ্গে সঙ্গে বিরোধিতা করার দরকার নেই। থামতে জানতে হবে। কথা বলে বড় হওয়া যায় না। চুপ থেকেই বড় হওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গে শুধু তৃণমূল কংগ্রেস চ্যালেঞ্জ নয়। আরও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বেশি বাড় ভাল নয়, পরিণতি খারাপ হবে। তাই অল্পদিনের কথা না ভেবে দীর্ঘস্থায়ী চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে।’