বাড়িতে কিট কিনে করোনা টেস্ট করানোয় জোর, প্রচারে নামছে কলকাতা পুরসভা
কিটের সাহায্যে বাড়িতে করোনা টেস্ট করে পজিটিভ হলে সেই তথ্য জানাতে হবে কলকাতা পুরসভাকে। বরোভিত্তিক স্বাস্থ্যবিভাগের তরফে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আবাসন চত্বরেই কেন বেশি সংক্রমণ, তার উত্তর খুঁজতেই এই বৈঠক করা হয়। পুর সূত্রে খবর, এই সমস্ত আবাসনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ বাড়িতেই টেস্ট করাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে যাঁরা পজিটিভ হচ্ছেন, তাঁদের তথ্য পুরসভার ডেটা-বেসে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই জন্য এই সমস্ত এলাকায় প্রচারে নামছেন পুর প্রতিনিধিরা।
গত সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার বেশ কিছু বরো এলাকায় সংক্রমণ উত্তরোত্তর বাড়ছিল। তার জেরে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে পুরকর্তাদের। পুরসভার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল মূলত পাঁচটি বরো। সেগুলি হল ৩, ৭, ৮, ১০, ১২। তবে চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই দেখা গিয়েছে এই এলাকাগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই কমতে শুরু করেছে। তার জেরে কিছুটা স্বস্তিতে কলকাতা পুরসভা। তবে সংক্রমণ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে বরোভিত্তিক বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পুরসভা। সেই মর্মে বৃহস্পতিবার ১০ নম্বর বরোতে একটি বৈঠক করেন ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্যবিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বরো চেয়ারম্যান জুঁই বিশ্বাস সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা। সেখানে অতীন বলেন, বহুতল ও আবাসনে সংক্রমণের হার অনেকটাই বেশি। অনেকেই নিজের উদ্যোগে বাড়িতে টেস্ট করাচ্ছেন। তবে পুরসভাকে জানাচ্ছেন না। ফলে তিনি পজিটিভ হলে সেই রিপোর্ট স্বাস্থ্যবিভাগের কাছে আসছে না। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, পরীক্ষা করালেও তাঁরা নিজেদের ঠিকানা ও ফোন নম্বর সঠিক দিচ্ছেন না। বিষয়টিকে নজরে রেখে করোনা প্রচারে আরও বেশি করে জোর দিতে চাইছে পুরসভা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বরো চেয়ারম্যানরা বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্যবিভাগের কর্তাদের সঙ্গে পরিদর্শনে যাবেন। সঙ্গে থাকবেন স্থানীয় থানার আধিকারিকরাও। সেখানকার বাসিন্দাদের করোনা নিয়ে সতর্ক করার পাশাপাশি যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রচার চালাবেন। একইসঙ্গে, বাড়িতে করোনা পরীক্ষা করালেও সেই তথ্য পুরসভাকে জানানোর জন্য আবেদন জানাবেন তাঁরা। বাড়িতে যাঁরা পরীক্ষা করছেন, তাঁরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা করুন, তা না হলে পরে সেফ হোম বা হাসপাতালে ভর্তি হতে সমস্যা হবে। এটা পুরসভার পক্ষে প্রচার করা হবে। আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, সংক্রামিতরা যাতে সঠিকভাবে করোনাবিধি মেনে চলেন, সেই দায়িত্ব নিতে হবে সংশ্লিষ্ট আবাসনের বাসিন্দাদের। অতীন জানিয়েছেন, বিভিন্ন আবাসনে অ্যাসোসিয়েশন আছে। তাদের সহযোগিতা নিয়ে সামাজিকভাবে করোনা প্রতিরোধ করতে হবে। কোনও কড়া পদক্ষেপ নিয়ে এটা সম্ভব নয়।