বাংলার প্রত্যেক স্কুলে চলছে স্যানিটাইজেশনের কাজ
সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতোই রাজ্যে বৃহস্পতিবার থেকে খুলতে চলেছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। সেইমতো রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে শুরু হল শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার ও স্যানিটাইজ করার কাজ। বর্ধমানের কটোয়া কাশীরাম দাস বিদ্যালয়ে দেখা গেল চূড়ান্ত ব্যস্ততা।
দীর্ঘ সময়ের পর আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠন-পাঠন শুরু হতে চলেছে। তার আগে স্কুল চত্বর পরিষ্কার থেকে স্যানিটাইজ করতে দেখা গেল কাটোয়া কাশীরাম দাস বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে।
অন্যদিকে, জলপাইগুড়িতেও দেখা গেল একই চিত্র। জেলার বিভিন্ন স্কুলে জোরকদমে স্যানিটাইজ করার কাজ চলছে। পুরসভার উদ্যোগে জলাইগুড়ি শহর সংলগ্ন স্কুলগুলিতে স্যানিটাইজ ও ঝোপঝাড় পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এদিন পুর সভার উদ্যোগে ফণীন্দ্রদেব উচ্চ বিদ্যালয় ও দেশবন্ধুনগর উচ্চ বিদ্যালয় স্যানিটাইজ করা হয়। ফণীন্দ্রদেব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রকাশকুমার কুণ্ডু বলেন, অনেকদিন পর স্কুল খুলছে। এর জন্য আমরা খুশি। আমাদের স্কুল যেহেতু শহরের মাঝখানে যার কারণে সেখানে মাঝে-মধ্যে কিছু সরকারি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সেই সময় স্কুল স্যানিটাইজ করা হয়ে থাকে। ৩ ফেব্রুয়ারি যেহেতু আবার স্কুল খুলছে তাই আবার স্যানিটাইজ করা হল। ক্লাস শুরুর সময় আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ক্লাস নেব। বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজোও (Saraswati Puja) স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে করোনাকালে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার পর গত বছর ১৬ নভেম্বর স্কুল চালু হয়। সেই সময় উচ্চ বিদ্যালয় গুলিতে নবম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা হয়। কিন্তু করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার কারনে আবারও বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে জোরকদমে চলছে তারই প্রস্তুতি।