বিধিনিষেধ শিথিল, আশায় বুক বাঁধছেন পর্যটক-ব্যবসায়ীরা

সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যটন কেন্দ্রে ছাড়ের কথা ঘোষণা করেন। তা঩তেই দীঘা, মন্দারমণিতে প্রাণ ফিরে এসেছে। আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা নিচ্ছেন হোটেল মালিকরা।

February 2, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

বিধি-নিষেধে ছাড় মিলতেই মঙ্গলবার থেকে দীঘায় পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হল। প্রায় একমাস বাদে সোমবার রাতে সি-বিচে যাওয়ার রাস্তার উপর থেকে গার্ডরেল সরিয়ে দেওয়া হয়। পর্যটকদের জন্য মুক্ত করা হয় দীঘার বিভিন্ন পার্ক। সবকটি পার্কের গেটে তালা ঝুলছিল। মঙ্গলবার হাতেগোনা পর্যটক দীঘা-মন্দারমণিতে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশ স্থানীয়। তবে, ওমিক্রন আতঙ্কে বন্ধ হওয়ার এক মাসের ব্যবধানে দীঘা-শঙ্করপুর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ায় খুশি হোটেল মালিক, দোকানদার, হকার থেকে প্রত্যেকেই। এজন্য রাজ্য সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তাঁরা।

ডিসেম্বর মাসের শেষ নাগাদ আচমকা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। সেসময় দীঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর ও মন্দারমণি পুরো হাউসফুল ছিল। বড়দিন থেকে নিউ ইয়ার উদ্‌যাপনে রেকর্ড ভিড়ের মধ্যেই ৩ জানুয়ারি থেকে বিধি-নিষেধ আরোপ হয়। সবকটি পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে দীঘায় ফের লকডাউনের ছবি লক্ষ্য করা যায়। এরই মধ্যে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতেই ধাপে ধাপে বিধি-নিষেধ শিথিল হয়। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যটন কেন্দ্রে ছাড়ের কথা ঘোষণা করেন। তা঩তেই দীঘা, মন্দারমণিতে প্রাণ ফিরে এসেছে। আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা নিচ্ছেন হোটেল মালিকরা।

মঙ্গলবার দীঘার বিশ্ববাংলা ঘাট, জগন্নাথঘাট, মেরিনা ঘাট, ক্ষণিকা ঘাট, হলিডে হোম ঘাটে পর্যটকরা ঘুরে বেড়িয়েছেন। তবে, সংখ্যায় কম ছিল। বেশিরভাগ হোটেলের রিসেপশন খোলা থাকলেও রুম বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার থেকে হোটেল মালিকরা সেইসব রুম পরিষ্কার করে স্যানিটাইজ করা শুরু করেন। পর্যটক সংখ্যা কমে যাওয়ায় দীঘাগামী সরকারি ও বেসরকারি বাস চলাচল অনেকটাই কমে গিয়েছিল। যদিও ধাপে ধাপে এসবিএসটিসি বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে দীঘা ডিপো সূত্রে জানা গিয়েছে।

এদিন নিউদীঘার হলিডে হোম ঘাটে বেড়াতে এসেছিলেন কাঁথি থানার বামুনিয়া এলাকা থেকে মৃত্যুঞ্জয় সাউ, দিগ্বিজয় মান্না। তাঁরা বলেন, এক মাস দীঘায় লকডাউনের ছবি দেখা গিয়েছিল। সোমবার পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার খবর জানার পরই আমরা বেড়াতে আসার পরিকল্পনা নিই। সেইমতো বাইকে চেপে এসেছি। পর্যটন কেন্দ্র খুলে গেলেও সাধারণ পর্যটকদের সতর্ক থাকতে হবে। আবারও যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য আমাদেরই উদ্যোগী হতে হবে। মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তা নাহলে ফের পরিস্থিতি খারাপ হলে তার জন্য আমরাই দায়ী থাকব।

দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার এগজিকিউটিভ অফিসার সুমনকুমার মণ্ডল বলেন, সোমবার রাত থেকেই দীঘা সি-বিচে যাওয়ার সবরকম গার্ডরেল খুলে দেওয়া হয়। পার্কের গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার কিছু সংখ্যক পর্যটক এসেছেন। দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, বিধি-নিষেধের এক মাসের মধ্যে পর্যটন কেন্দ্র পর্যটকদের জন্য চালু হওয়ায় আমরা রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা স্বাভাবিক অবস্থার অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান হওয়ায় আমরা খুশি। আশা করি, ধীরে ধীরে পর্যটক সমাগম বাড়বে।

The influx of tourists to Digha has started.

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen