অপ্রতুল যানবাহন, অফিসযাত্রীদের সমস্যার সমাধান করলেন মুখ্যমন্ত্রী
৮ জুন থেকে রাজ্যজুড়ে চালু হয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। ১০০ শতাংশ হাজিরার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অফিসের পথে বেরিয়ে বাস-অটো না পেয়ে নাকাল হচ্ছে রাজ্যবাসী। এবার সেই সমস্যা কাটাতে উদ্যোগ নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা সংক্রমণে লাগাম পড়াতে এবার রাজ্য সরকারি অফিসে নতুন নিয়ম কার্যকরি হল। যা সম্ভবত রাজ্যের ইতিহাসে একেবারে নতুন।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকারি অফিসে চালু হচ্ছে দু’টি শিফট। প্রথম শিফট শুরু হবে সকাল সাড়ে ন’টা থেকে। চলবে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত। আরেক দফা শিফট শুরু হবে দুপুর সাড়ে বারোটায়। চলবে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। এর ফলে একদিকে যেমন অফিসে জমায়েত এড়ানো যাবে। তেমনই পরিবহণের সমস্যাও বেশকিছুটা এড়ানো যাবে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বেসরকারি অফিসগুলিতে কী হবে? সেই সংস্থার কর্মীরা কী করবেন? এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “বেসরকারি ক্ষেত্রে সম্ভব হলে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করুন। যাঁরা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন, তাঁদের করতে দিন। যাঁদের একদম সম্ভব হবে না, তাঁরা অফিসে আসুন।” তবে ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সামাজির অনুষ্ঠানে ২৫ জনকে উপস্থিত থাকতে পারবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেখানে ভিড় না করার পরামর্শই দেন তিন। করোনা ক্রমশ বাড়তে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। একইসঙ্গে উপযুক্ত নিয়মাবলি মেনে চলারও পরামর্শ দেন তিনি।
এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে পরীক্ষা বেড়েছে। তাই বেশি সংখ্যক আক্রান্তের কথা জানা যাচ্ছেে। তবে সংক্রমণের হার দেখে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। মমতার কথায়, “করোনার শুরুর দিকে মাত্র দুটি পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল। কেন্দ্র সরকার আমাদের অনুমতি দেয়নি। এখন ১৫-১৬টি জায়গার পরীক্ষা হচ্ছে। তাই বেশি সংখ্যক সংক্রমিতের হদিশ পাওয়া যাচ্ছে।” সাধারণ মানুষকে সামাজিক দূরত্বের নিয়মাবলি মেনে চলার আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী।