বিধি মেনে ১৫ জুন থেকে খোলা হচ্ছে বেলুড়মঠ
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও মঠ চত্বরে প্রবেশের আগে দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে ১৫ জুন থেকে দর্শনার্থীদের জন্য খোলা হচ্ছে বেলুড়মঠ। দর্শনার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একদিন আগে মঠ পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তাঁরাও সব ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেছেন। মঠ সূত্রে খবর, আগামী সোমবার থেকে প্রতিদিন সকাল ৯টা-১১টা এবং বিকেল ৪টা-৬টা পর্যন্ত মঠ খোলা থাকবে। মঠের মূল প্রবেশ দ্বারের বাইরে বাঁশের ম্যারাপ তৈরি হয়েছে। সেখানে বিশ্রাম নিয়ে তবে মূল প্রবেশ দ্বারে থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে দর্শনার্থীদের। রোদে তাপমাত্রার হেরফের হতে পারে। সেজন্যই থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের আগে ছায়ায় বিশ্রামের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। দর্শনার্থীদের দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলে তবেই ভেতরে যেতে দেওয়া হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। মাস্ক পরে লাইনে দাঁড়ানোর নিয়মও মানতে হবে।
এ ছাড়াও মূল প্রবেশদ্বার থেকে জুতো জমা রাখার কাউন্টার পর্যন্ত রাস্তায় গার্ডরেলের ভিতরে ৬ ফুট ব্যবধান বজায় রেখে দাঁড়ানোর জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। জুতো জমা রেখে একই ভাবে যেতে হবে শ্রীরামকৃষ্ণের মন্দিরে। মূল মন্দিরে প্রবেশের আগেও হাত ধোয়ার জন্য জল ও সাবানের ব্যবস্থা থাকবে। স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থাও থাকবে। মূল মন্দিরের দরজা থেকে শ্রীরামকৃষ্ণের মূর্তির আগে পর্যন্তও দূরত্ববিধি মানার ব্যবস্থা থাকছে। মন্দিরে মূর্তির সামনে শুধু হাত জোড় করে প্রণাম সেরে অন্যপথে বেরিয়ে যেতে হবে দর্শনার্থীদের। বসে বা শুয়ে প্রণামেও অনুমতি নেই। মঠের প্রধান গেট থেকে জুতো জমার কাউন্টার পর্যন্ত সর্বাধিক ২৫ জন দাঁড়ানোর অনুমতি দেওয়া হবে। মন্দিরের ভিতরে ১০ জনের বেশি যাওয়া যাবে না।
স্বামী বিবেকানন্দর বাসগৃহ বন্ধ থাকবে। নির্দিষ্ট ঘেরা পথ দিয়ে স্বামী ব্রহ্মানন্দের মন্দির, মা সারদার মন্দির ও স্বামী বিবেকান্দর সমাধি মন্দির দর্শন করা যাবে। তবে এখনই অধ্যক্ষ মহারাজের দর্শন বা প্রণাম, দীক্ষার ব্যবস্থা থাকছে না। আপাতত বন্ধ থাকছে মিউজিয়াম, পল্লি মঙ্গল, সারদাপীঠ, বুকস্টল, ভোগ প্রসাদ বিতরণ ইত্যাদি। আরতি দেখা বা মঠের গঙ্গার ঘাটে স্নান করার অনুমতিও দেওয়া হচ্ছে না। বয়স্ক দর্শনার্থীদের জন্য থাকা হুইল চেয়ার, ব্যাটারিচালিত গাড়ি পরিষেবা বন্ধ থাকছে। প্রতিদিন দু’বার করে সমস্ত মন্দির ও জুতো রাখার ঘর স্যানিটাইজ করা চলবে। লকডাউনের জন্য গত ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল বেলুড় মঠ। এ বার মন্দির দর্শন-সহ মঠে প্রবেশের সীমিত অনুমতি মেলায় খুশি ভক্তরা।