বিজেপির ডাকা বনধ উপেক্ষা করে সচল বাংলার জনজীবন
রবিবার রাজ্যে ১০৭ পুরসভায় ছিল নির্বাচন। দিনভর নানা অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। আর ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হতে না হতেই বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির। বন্ধ সফল করতে সকাল থেকে পথে নেমেছে গেরুয়া শিবির। সকাল সাতটা নাগাদ হুগলির স্টেশনে ডাউন বর্ধমান লোকাল আটকে দেয় বনধ সমর্থকরা। ব্যান্ডেল রেল পুলিশ এসে অবরোধ সরিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করে। পরে হুগলি স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে বিক্ষোভ করে বিজেপি।
বিজেপি-র ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্ধে কলকাতার যান চলাচল স্বাভাবিক। সময়মতোই চালু হয়েছে মেট্রো। হাওড়া এবং সংলগ্ন এলাকায় বন্ধের কোনও প্রভাব পড়েনি। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। চলছে সরকারি ও বেসরকারি বাস। অর্জুন সিংহের গড় ব্যারাকপুরেও সাধারণ দিনের মতই রাস্তায় মানুষ। বীরভূমেও জীবিকার টানে পথে নেমেছে মানুষ।
যদিও বন্ধে আংশিক প্রভাব লক্ষ্য করা গেল কোচবিহার শহরে। বেসরকারি পরিবহন পথে দেখা না গেলেও সরকারি পরিবহন রাস্তায় নেমেছে। তাছাড়াও টোটো অটো রাস্তায় নেমেছে। কোচবিহারে ভবানীগঞ্জ বাজারে পাওয়ার হাউস চৌপথিতে সরকারি বাস আটকান বিজেপির দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে।
সাতসকালেই বালুরঘাট শহরে বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেল বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumer)। পুলিশ মিছিল আটকানোর চেষ্টা করলে পরিস্থিতি সামান্য উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এছাড়া হুগলি, বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা।
এছাড়া শিলিগুড়ির (Siliguri) বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের নেতৃত্বে হিলকার্ট রোডে বিজেপি মিছিলে শামিল হয়। অভিযোগ, এই মিছিল থেকে জোর করে খোলা দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সপ্তাহের প্রথম দিন বন্ধের জেরে সমস্যায় নিত্যযাত্রীরা। সকাল থেকে বর্ধমান, হুগলিতে রেল অবরোধ (Rail Block) করেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। তাতে আটকে পড়ে বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন। গন্তব্যে পৌঁছতে ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে পড়েন নিত্যযাত্রীরা।
হাওড়ার (Howrah)শানপুর মোড়ে বিজেপির অবরোধ দমনে পুলিশ কড়া পদক্ষেপ নেয়। মিছিল থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। নন্দীগ্রামেও বন্ধের ভাল প্রভাব পড়েছে। বন্ধ নন্দীগ্রাম-চণ্ডীপুর বাস চলাচল। এলাকায় চলছে না অটো, টোটোও। যদিও পরিবহণ সচল রাখতে আগেই ব্লু-প্রিন্ট ছকেছিল প্রশাসন। সেইমতো যানবাহন চালাতে তৎপরতা রয়েছে পরিবহণ বিভাগের তরফেও।