আমেরিকার মতো কলকাতার রাস্তাতেও চলবে ট্রলি বাস! উদ্যোগ রাজ্যের
কলকাতাকে লন্ডন বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী সেজে উঠছে তিলোত্তমা। বদলাচ্ছে যানবাহনের ধরনও। এবার ইউরোপ, আমেরিকার মতোই কলকাতার রাস্তায় চলবে ট্রলিবাস।
ট্রামলাইন ধরে এবার কলকাতার রাস্তায় চলতে দেখা যাবে ট্রলিবাস। যেমনটা ইউরোপ, আমেরিকার একাধিক দেশে চলে। দেখতে হবে ট্রামের মতোই। বাসটি বিদ্যুৎ নেবে ট্রামের তার থেকেই। লাইন ধরে তা চলবে। তবে চাকা হবে সাধারণ বাসের মতোই টায়ারের। আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে এই ট্রলিবাস কলকাতায় আনার পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
পরিবহণ দপ্তরের কর্তা, কলকাতা পুর কমিশনার ও পুলিশ কর্তাদের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক করেন মন্ত্রী। ময়দানে পরিবহণ দপ্তরের টেন্টে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিল বেসরকারি কয়েকটি সংস্থাও। যারা কিনা শহরজুড়ে বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য চার্জিং স্টেশন তৈরির কাজে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বৈঠক শেষে বেরিয়েই পরিবহণমন্ত্রী বলেন, “আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি এই শহরে ই বাস এবং শহরের বাইরে সিএনজি বাস চালানোর জন্য। কিন্তু নানা কারণে ই—বাসের সরবরাহ ঠিক নেই। তাই ট্রলি বাস আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই বাস চার্জিংয়ের কোনও ঝামেলা নেই। ট্রামের তার থেকেই বিদ্যুৎ টেনে নিতে পারবে।” এদিন ইলেকট্রিক বাস তৈরি নিয়েও এক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা হয়। তবে তা অত্যন্ত প্রাথমিক বলেও জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী। বৈঠকে লিথিয়াম ব্যাটারি বানায়, বাসের যন্ত্রাংশ সরাবরাহ করে এমন সংস্থাও আলোচনায় ছিল।
পরিবহণমন্ত্রী বলেন, “ই-অটো নামানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কারণ সিএনজি-রও তো দাম বাড়ছে। তাছাড়া ই-অটো থেকে কোনওরকম দূষণ ছড়াবে না। ভাড়া বাড়ানোরও সমস্যা থাকবে না।” আর এসব লক্ষ্যেই শহর থেকে জেলা সর্বত্র প্রচুর সংখ্যক চার্জিং স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যাতে আগামীদিনে বৈদ্য়ুতিক বাস-গাড়ি, অটো চললেও গাড়ি চার্জ দিতে কোনও সমস্যা না হয়। পরিবহণমন্ত্রী বলেন, “ভাড়া বাড়ানো এখন সম্ভব নয়। তাই আমি প্রথম থেকে বিকল্প জ্বালানির কথা ভাবছি। সেই লক্ষ্যেই ই ভেহিক্যালের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।”