ঝালদায় কংগ্রেসের বিক্ষোভ, পুরবোর্ড গঠন নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড
ঝালদা পুরসভায় ধুন্ধুমার। সোমবার পুরবোর্ড গঠনের দিন নির্ধারিত ছিল। ওই বোর্ড গঠন নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত হয়। এমনিতেই তপন কান্দুর খুনের প্রতিবাদে কালা দিবস পালন করার কথা ছিল কংগ্রেসের। এই নিয়েই ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় পুরসভার বাইরে। যার আঁচ পৌঁছয় বাই পুরসভার বাইরেও।
তপন কান্দুর পরিবারেরর দাবি, ঝালদা পুরবোর্ড গঠন করা নিয়েই খুন হতে হয়েছেন ওই কংগ্রেস কাউন্সিলর। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল ওই বোর্ড দখল করতে চাওয়ায় উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। বুধবার ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস।
অন্যদিকে, ঝালদা কাণ্ডে আরও এক অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল। ওই ক্লিপে নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দু এবং তাঁর প্রতিবেশী অমল কান্দুর মধ্যে হওয়া কথোপকথন শোনা যাচ্ছে। ওই Audio Clip অনুযায়ী, দু’জনের মধ্যে টাকাপয়সা নিয়ে বচসা হচ্ছে। অমলকে বারবার ফোন রাখতে বলছেন তপন। কিন্তু, সে নাছোড়বান্দা।
তাঁর দাবি, “আমি তোমাকে ভোট দিয়েছি। তোকে আমার কথা শুনতেই হবে।” পরক্ষণেই তিনি বলছেন, “আজ না হয় কাল তোকে তৃণমূলে আসতেই হবে। প্রেসারটা হাই করিস না।” দু’জনের সম্পর্কে যে তিক্ততা ছিল, তা ওই রেকর্ডিংয়েই স্পষ্ট। যদিও এই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ মাধ্যম।
অমলকে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ওই অডিয়োটা এখন যেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে সেটা ঠিক নয়। আমি স্বীকার করছি যে আমাদের মধ্যে ওই কথোপকথন হয়েছিল। কিন্তু, ভোটের আগে ওই কথাগুলি হয়েছিল।”
তাঁর সংযোজন, “আমরা তো তৃণমূলের পার্টি অফিসেই বসতাম। বিভিন্ন ধরনের কথা হত। সে সময় বেশ কিছুজন বলত আমাদের কাউন্সিলর জিতলে তৃণমূলেই যাবে। তাই রাগের মাথায় ওই কথাগুলো বলেছিলাম।”
এদিকে, ঝালদায় CBI ঢুকতে শুরু করেছে বলেই খবর। সোমবারই ওই ঝালদা খুনের ঘটনায়য় তদন্তের দায়িত্ব CBI -কে দিয়েছে Calcutta High Court।
নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু CBI তদন্ত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আবেদন মঞ্জুর হতে তিনি বলেন, “এই ঘটনায় পুলিশরা জড়িত ছিল। এখন বাঁচার চেষ্টা করছে। হাইকোর্ট CBI তদন্তের রায় দিয়েছে। এর জন্য মহামান্য আদালতকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। এতে আমি খুবই খুশি। এটা শুধু আমার জয় নয়। বরং গোটা ঝালদার জয় হয়েছে।”