দেশ বিভাগে ফিরে যান

এক্সই-এর পাশাপাশি করোনার চতুর্থ ঢেউকে নিয়ে আসতে পারে আরও ২ ঘাতক ভ্যারিয়েন্ট!

April 10, 2022 | 2 min read

করোনাভাইরাস (Coronavirus) এখনও দূরে যায়নি। বারেবার ভেলকি দিয়ে ফিরে আসছে এই ভাইরাস। এবার করোনার তৃতীয় ঢেউ শেষ হওয়ার পর মোটের উপর সকলেই ভেবেছি যে এই ভাইরাস শেষ হয়ে গেল। তবে বর্তমানে এই সমস্যা নতুন করে দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে ইউরোপ, এশিয়ার বহু দেশে ফের দেখা মিলছে এই ভাইরাসের। এতদিন পর্যন্ত জানা গিয়েছিল যে ওমিক্রনের সাবভ্যারিয়েন্ট বিএ.২ এবারের সংক্রমণের পিছনে ছিল।

কিন্তু বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) আবার আমাদের বিশেষভাবে সতর্ক করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন একটি ভ্যারিয়েন্টের কথা বলা হয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্ট আগের যে কোনও করোনাভাইরাসের থেকে ১০ গুণ বেশি সংক্রামক বলেই জানা গিয়েছে। এমনকী বিএ.২ (BA.2) সাবভ্যারিয়েন্টের তুলনাতেও এই ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত সংক্রামক বলে বিভিন্ন গবেষণায় জানানো হয়েছে।

অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছেন। এক্ষেত্রে ভাইরাস রিকম্বিন্যান্ট নিয়ে মানুষের জ্ঞান তেমন নেই। আসলে যখন কোনও দুটি ভাইরাস একত্রে মিশে যায়, তখনই তৈরি হয় ভাইরাস রিকম্বিন্যান্ট। এক্ষেত্রে ধরা যাক, করোনার দুটি ভ্যারিয়েন্ট যেমন- ডেল্টা ও ওমিক্রন আগে থেকেই ছিল। এবার এই দুটি ভাইরাস একত্রে মিলে গেলে তৈরি হতে পারে ভাইরাস রিকম্বিন্যান্ট। ছবি সৌজন্যে: পিক্সাবে

​XE কী ভাবে তৈরি হল?

এবার এক্সই ভ্যারিয়েন্ট নিয়েও মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। এক্ষেত্রে জানা যাচ্ছে করোনার বিএ.১ এবং বিএ.২ মিলে তৈরি হয়েছে এই ভ্যারিয়েন্ট। এক্ষেত্রে ওমিক্রনের প্রধান স্ট্রেন হল বিএ.১ এবং সাবভ্যারিয়েন্ট হল বিএ.২। এই দুটি ভ্যারিয়েন্ট একত্রে মিলেই তৈরি হয়েছে এক্সই। এক্ষেত্রে বিএ.২-এর মতো স্ট্রাকচারাল ও স্পাইক প্রোটিন রয়েছে এই ভাইরাসের। অপরদিকে বিএ.১-এর পঞ্চম জেনোমের একের পঞ্চমাংশ রয়েছে এই ভাইরাসে। এই ভাইরাস ওমিক্রনের থেকে ১০ শতাংশ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ছবি সৌজন্যে: পিক্সাবে

​XD ও XF হল রিকম্বিন্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট

XD এবং XF ভ্যারিয়েন্ট দুটি বিএ.১ এবং ডেল্টার সঙ্গে মিলেমিশে তৈরি হয়। এই দুটি ভাইরাসের ক্ষেত্রেই ১০টি সিকোয়েন্স রয়েছে। এক্ষেত্রে XD ফ্রান্স, বেলজিয়াম এবং ডেনমার্কে পাওয়া গিয়েছে। অপরদিকে XF পাওয়া গিয়েছে ব্রিটেনে। এবার এই দুটি রিকম্বিন্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট নিয়েও গোটা পৃথিবীর তাবড় বিজ্ঞানীদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতেই হবে। ছবি সৌজন্যে: পিক্সাবে

এই ভাইরাস থেকে সমস্যার আশঙ্কা কতটা?

না, বিজ্ঞানীরা এখনও এই বিষয়টি নিয়ে সদর্থক কোনও উত্তর দিতে পারেননি। তবে এই ভাইরাস আক্রমণ করলে যে প্রতিটি মানুষের মধ্যে আলাদা রকমের উপসর্গ দেখা দেবে, এই বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন এই বিশেষজ্ঞ। এক্ষেত্রে টিকা নেওয়া হয়েছে কিনা, ইমিউনিটি কতটা রয়েছে, কেমন ইনফেকশন হয়েছে- এই বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। তারপরই সমস্যার করা যেতে পারে সমাধান।

কী কী লক্ষণ দেখা যেতে পারে?

এই প্রতিটিই হল করোনাভাইরাস। তাই এক্ষেত্রে জ্বর থেকে শুরু করে গলা ব্যথা, কাশি, নাক থেকে জল গড়ানো, ক্লান্তি, ত্বকের রং বদলে যাওয়া, পাকস্থলী ও অন্ত্রে সমস্যা, স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এসব ক্ষেত্রে অন্যান্য সমস্যা দেখা দেওয়ার পাশাপাশি পেটের অসুখ বেশি দেখা যায়। সেক্ষেত্রে ডায়ারিয়া, গ্যাস, পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই বিষয়গুলি নিয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকুন।

আর রোগ খুব বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে গেলে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই একটু ভাবতে হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Covid 4th wave, #Coronavirus

আরো দেখুন