একটানা পরাজয়, জিততে মরিয়া কেকেআর আজ মুখোমুখি রাজস্থানের
হতে পারত জয়ের হ্যাটট্রিক। সে জায়গায় হারের হ্যাটট্রিকের মুখে দাঁড়িয়ে নাইটরা। দলের এই পদস্খলনে হিসেব কিছুতেই মেলাতে পারছেন না কেকেআর কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। একটা সময় মনে হচ্ছিল, অ্যারন ফিনচ দলে যোগ দিলে নাইট রাইডার্সের ব্যাটিং মজবুত হবে। মিটবে ওপেনিং জুটির সমস্যা। কিন্তু গত ম্যাচে অজি তারকাটি খেললেও বড় রান পাননি। ফলে সমস্যা থেকেই গিয়েছে। এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে না পারলে, সোমবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধেও বিপদে পড়বে নাইট রাইডার্স।
কেকেআরের বোলিং বড়ই ছন্নছাড়া লাগছে। একেবারে ফর্মে নেই বরুণ চক্রবর্তী। নামেই তিনি মিস্ট্রি স্পিনার। কিন্তু প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানরা তাঁর স্পিনের রহস্য সহজেই উন্মোচন করে ফেলছেন। ছ’টি ম্যাচে তিনি পেয়েছেন মাত্র চারটি উইকেট। সুনীল নারিনের স্পিনেও তেমন ঝাঁঝ চোখে পড়ছে না। পেস আক্রমণে দিশা দেখাচ্ছেন একমাত্র উমেশ যাদব। পাওয়ার প্লে’তে উইকেট নিচ্ছেন। সেই তুলনায় বাকি পেসারদের পারফরম্যান্স বড়ই সাদামাটা। প্যাট কামিন্সকে ব্যাটিংয়ের চেয়ে বোলিংয়ে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। আবার আন্দ্রে রাসেলকে দিয়ে কেন পুরো চার ওভার বল করানো হচ্ছে না, তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। তবে আমন খানের মতো আনকোরা বোলারের উপর বেশি ভরসা না রেখে শিবম মাভিকে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।
প্রয়োজনে ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন ঘটাতে হবে কেকেআরকে। বেঙ্কটেশ আয়ারকে মিডল অর্ডারে ঠেলে ফিনচের সঙ্গে নারিনকে দিয়েও ইনিংসের সূচনা করা যেতে পারে। অতীতে তিনি এই দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে পালন করেছেন। ক্যাপ্টেন শ্রেয়সও সেভাবে জ্বলে উঠতে পারছেন না। নীতীশ রানা গত ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন, যা কিছুটা হলেও টিম ম্যানেজমেন্টকে স্বস্তি দিচ্ছে। তবে রাসেলের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের উপর অনেক কিছুই নির্ভর করবে। তিনি ম্যাচ উইনার। নিজের দিনে একাই দলকে জেতাতে সক্ষম ‘দ্রে রাস’।
একটা সময় পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে ছিল নাইট রাইডার্স। নামতে নামতে শ্রেয়সরা এখন ষষ্ঠ স্থানে। সেই তুলনায় বেশ ভালো জায়গায় রাজস্থান রয়্যালস। বিগত কয়েক বছরের ব্যর্থতা ভুলে সঞ্জু স্যামসনরা এবার খেতাবি লড়াইয়ে দারুণভাবে রয়েছেন। পাঁচটি খেলে তিনটিতে জিতে রাজস্থান রয়েছে চতুর্থ স্থানে। নাইটদের হারাতে পারলে আরও উত্থান ঘটবে তাদের।
রাজস্থান দলে তারকার ছড়াছড়ি। ব্যাটিংয়ে বড় ভরসা জস বাটলার, দেবদূত পাদিক্কাল, সঞ্জু স্যামসন, শিমরন হেটমায়ার। তা সত্ত্বেও গত ম্যাচে গুজরাতের কাছে হারতে হয়েছিল তাদের। সেই ধাক্কা সামলে কেকেআরকে কঠিন চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরি সঞ্জুরা।
একঝাঁক দক্ষ অলরাউন্ডার থাকায় রাজস্থান দলের ভারসাম্য চমৎকার। রবিচন্দ্রন অশ্বিন, জেমস নিশাম ও রিয়ান পরাগ ব্যাটে-বলে চমক দিতে পারেন। বোলিংয়ে সেরা অস্ত্র ট্রেন্ট বোল্ট। যদিও কিউয়ি পেসারটি চোটের কারণে গত ম্যাচে খেলতে পারেননি। কেকেআরের বিরুদ্ধে তিনি মাঠে নামবেন কিনা, সেটাই দেখার। না হলে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণাকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। স্পিনে সেরা বাজি যুজবেন্দ্র চাহাল। নিয়মিত উইকেট নিচ্ছেন তিনি। এই ম্যাচেও চাহাল ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।