দেশের প্রথম মহানগর! কলকাতায় তৈরি হল জীববৈচিত্র্যের রেজিস্টার

ন্যাশনাল বায়োডাইভার্সিটি অথোরিটির চেয়ারম্যান ভি.বি. মাথুর জানান কলকাতাই প্রথম মহানগর, যা পিপলস বায়োডাইভার্সিটি রেজিস্টার তৈরি করল।

May 31, 2022 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
ছবিটি প্রতীকী সৌজন্যে telegraph

পরিবেশের ভরসাম্য রক্ষায় জীববৈচিত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। এবার সেই জীববৈচিত্র নিয়েই অগ্রণী ভূমিকা নিল কলকাতা পুরসভা। দেশের প্রথম মেট্রো শহর হিসেবে কলকাতা, জীববৈচিত্র্যের বিস্তারিত রেজিস্টার প্রস্তুত করল। কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন শনিবার ২১মে পিপলস বায়োডাইভার্সিটি রেজিস্টার (পিবিআর) প্রকাশ করেছে।

ওই নথিতে কলকাতা শহরের ফ্লোরা, ফনাগুলোর বিস্তারিত বিবিরণ রাখা হয়েছে, এছাড়াও জমির ব্যবহার এবং মানুষের ক্রিয়াকলাপের বিবরণও থাকছে ওই নথিতে। ন্যাশনাল বায়োডাইভার্সিটি অথোরিটির চেয়ারম্যান ভি.বি. মাথুর জানান কলকাতাই প্রথম মহানগর, যা পিপলস বায়োডাইভার্সিটি রেজিস্টার তৈরি করল।

বায়োডাইভার্সিটি ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং বিভিন্ন এনজিওর সহায়তায় রাজ্যের বায়োডাইভার্সিটি বোর্ডের তত্ত্বাবধানে, রেজিস্টারটি নির্মাণ করা হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হামিকের কথায় আন্তর্জাতিক দিবসের প্রাককালে এই রেজিস্ট্রারটি প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁর মতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এটিও একটি হাতিয়ার হতে চলেছে।

রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী রত্না দে নাগ বলেন কলকাতার এই কৃতিত্ব অবশ্যই সকলের জন্য গর্বের। কলকাতার জীববৈচিত্র্য রেজিস্টারের আয়তন প্রায় ৫২০ পৃষ্ঠা। যার মধ্যে ১৩৮ টি প্রজাতির গাছ, ২৬ ধরনের চীনা সবজি, ৩৩ প্রজাতির ঔষধি গাছ এবং প্রায় ১০০টি অন্যান্য প্রজাতির উদ্ভিদের বিষয়ে নথিভুক্ত করা হয়েছে।

কলকাতা শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রায় ৭০ প্রজাতির প্রজাপতি, ৪৭ প্রজাতির মাছ, ৮৪ প্রজাতির পাখি এবং ২২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীসহ মোট ২৯০ ধরণের প্রাণীর প্রজাতির বিস্তারিত তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে৷ নথিভুক্ত করার সময় পূর্ব কলকাতা জলাভূমি এবং রবীন্দ্র সরোবরের মতো হটস্পটগুলির জীববৈচিত্রকেও রেজিস্ট্রারে স্থান দেওয়া হয়েছে। ক্ষেত্র সমীক্ষার ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা ছাড়াও, বিভিন্ন আলোচনা এবং সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যকেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen