আসছে KBC-র নতুন সিজন, টিজারে নাম না করে কটাক্ষ সংবাদমাধ্যমের একাংশকে
সোনি টিভির অন্যতম বিখ্যাত টেলিভিশন শো হল কৌন বানেগা কোড়রপতি। নলেজ গেম শোটি অনন্য মাত্র পেয়েছে অমিতাভ বচ্চনের সঞ্চালনায়। প্রশ্নের উত্তর দিলেই পুরস্কার প্রাপ্তি, আর পুরস্কার হল টাকা; ফলত জনপ্রিয়তার নিরিখে শীর্ষেই থাকে এই শো। শোয়ের ১৪ তম সিজন আসতে চলেছে। নয়া সংস্করণ আসার আগে থেকেই প্রচার শুরু করে দিল চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। আর সেই প্রচারে ট্রোল করা হল ২০০০ টাকার নোটের জিপিএস ট্র্যাকারকে। নয়া সিজনের প্রচার হিসেবে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ।
ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রশ্নোত্তর খেলার এক প্রতিযোগী গুড্ডি দেবীর সঙ্গে সকলের আলাপ করিয়ে দিচ্ছেন সঞ্চালক। তারপরেই তাকে প্রশ্ন করছেন অমিতাভ বচ্চন। প্রশ্নটি হল, নিম্নলিখিত কোন জিনিসের মধ্যে জিপিএস প্রযুক্তি থাকে? উত্তরের অপশন হিসেবে চারটি প্রতীকী উত্তর দেওয়া হয়। সেগুলো হল টাইপ রাইটার, টেলিভিশন, স্যাটালাইট এবং দুহাজার টাকার নোট। উত্তরে গুড্ডি দেবী আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন দুহাজার টাকার নোটে জিপিএস থাকে। আবার বলেন কেবল আমি নই গোটা দেশই নিশ্চিত সঠিক উত্তর দুই হাজার টাকার নোট। এরপর অমিতাভ জানান যে, আপনার উত্তর ভুল সঠিক উত্তর স্যাটেলাইট। পাল্টা প্রতিযোগী বলেন স্যার আপনি মজা করছেন না! ভিডিওতে অমিতাভকে বলতে শোনা যায় আমি কেন মজা করব। মজা তো তারা করেছিল যাদের কথাকে আপনারা সত্যি ভেবে বসেছেন। গুড্ডি দেবী বলেন, কিন্তু স্যার খবরে তো দেখিয়েছিল। এটা তো ওদের ভুল। সঞ্চালক ফের বলেন, ভুল ওদের হলেও ক্ষতি তো আপনারই হল।
স্পষ্টত, এই ভিডিওর মাধ্যমে মোদী সরকার ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যমগুলোকে তীব্রভাবে কটাক্ষ করা হয়েছে। মিথ্যে খবর প্রচার করা ও ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেওয়া যে মারাত্মক অপরাধ এবং তা বিশ্বাস করলে যে সাধারণ মানুষের ক্ষতি তাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ৮ নভেম্বর মোদী সরকার নোটবন্দি করে। রাতারাতি ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে দেওয়া হয়। নতুন ২০০০ ও ৫০০ টাকার নোট আনা হয়। তখন মোদী সরকার ও বিজেপি ঘনিষ্ঠ একদল সংবাদমাধ্যম প্রচার করতে শুরু করেন নতুন ২০০০ টাকার নোটে জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এবং এই টাকা কেউ তা লুকিয়ে রাখতে পারবেন না। আদপে যা মিথ্যে প্রচার বই কিছুই না।
কেবিসির নয়া সিজনের প্রোমো সামনে আসতেই ফের নেটপাড়ায় ট্রোল হতে শুরু হয়েছেন ২০০০ টাকার নোটে জিপিএস প্রযুক্তি রয়েছে বলে প্রচার করা দুই সাংবাদিক সুধীর চৌধুরী এবং শ্বেতা শর্মা। ২০১৬ সালের ওই সময়ে তাদের করা খবরের ভিডিও ক্লিপিং পোস্ট করে ট্রোল করছেন নেটিজেনরা।
প্রসঙ্গত, কেবিসির নয়া সিজন খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে। যদিও কবে থেকে শুরু হচ্ছে তা ওই বিজ্ঞাপনে ঘোষণা করা হয়নি। এবারের ১৪তম সিজনের ট্যাগ লাইন, ‘যেখান থেকে পাবেন জ্ঞান সংগ্রহ করুন কিন্তু তার আগে ভুল-ঠিক পরখ করে নিন।’ সেই সত্য-মিথ্যে পরখ করার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতেই ফের একবার মোদী সরকার ঘনিষ্ঠ সাংবাদিকদের মিথ্যাচার ও অপদার্থ সাংবাদিকতার প্রসঙ্গ উঠে এল।