চুল, থুঙ্কা, মাশরুম থেকে অর্কিড, বাংলার নানান প্রান্তের পণ্য পাড়ি দেবে বিদেশে
পয়সার বিনিময়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে চুল কিনে নিয়ে যান ফেরিওয়ালারা। ওজনে মেপে চুল কিনে নিয়ে যাওয়ার পরে সারা রাজ্যের চুল পৌঁছে যায় পূর্ব মেদিনীপুরে। তারপর চলে প্রসেসিং। আবার অন্য একদল এসে সেই চুল কিনে নেয়। তারপর সেই চুল চলে যায় বিদেশে। পুতুলের চুল থেকে নানান ধরণের পরচুলা সবই তৈরি হয় ওই চুল থেকে, এভাবেই দেশ বিদেশের নানান প্রান্ত ছড়িয়ে পড়ে চুল। কিন্তু গ্রামের সাধারণ মানুষ যারা ওই চুলের পেশায় নিযুক্ত, তারা সামান্যতম দাম নিয়েই সন্তুষ্ট থাকেন। এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে চাইছে স্বরোজগার কর্পোরেশন।
এবার শপিং মল, সুপার মার্কেট, সেলুন পার্লার ইত্যাদি জায়গায় পরচুলার বিজ্ঞাপন দেওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য। পরচুলা উৎপাদন ক্ষেত্রে নিযুক্ত লোকদের সঙ্গে সঙ্গে এক্ষেত্রে ক্রেতারাও লাভবান হবেন। কেবল মেদিনীপুরের চুলই নয় পাখির চোখ করা হচ্ছে রাজ্যের নানান প্রান্তের আরও অনেক সামগ্রিকে। উত্তর দিনাজপুরের গাপ্পি মাছ, কালিম্পং অর্কিড, মালদহের মাখনা, দার্জিলিংয়ের থুঙ্কা, হাওড়ার মাশরুম ইত্যাদির ব্র্যান্ডিং ও রপ্তানির উদ্যোগ নিচ্ছে স্বরোজগার কর্পোরেশন। জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা ও স্বরোজগার কর্পোরেশন চেয়ারপার্সন তন্ময় ঘোষ এই বিষয়ে কয়েক দফা বৈঠকও সেরে ফেলেছেন।
সরাসরি উৎপাদনকারীদের থেকে জিনিস কিনে সরকার তা বিক্রি করতে পারে কিনা, তার অনুমোদনের জন্যে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। তন্ময় বাবু কথায়, এই পণ্যগুলির দাম কত হওয়া উচিত বা সঠিক দাম কত তা জানেন না উৎপাদনকারীরা। ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা মুনাফা লুটে নিচ্ছেন। তাই মধ্যস্বত্বভোগীদের সরিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে সরাসরি উৎপাদনকারীদের যোগ করতেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রপ্তানিরও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এই সব পেশায় নিযুক্তেরা জানাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রেই তারা সঠিক দাম পান না। তাই রাজ্যের এই উদ্যোগে খুশি উৎপাদনকারীরা।