শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ, কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বিরোধী দলনেতা?
প্রদীপ গায়েন হুঁশয়ারি দিয়েছেন, আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অনেকেই জড়িয়ে রয়েছে। কোথায়, কার নির্দেশে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে তা ধীরে ধীরে সামনে আসবে।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন কাঁথি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রদীপ গায়েন। প্রদীপ বাবুর দাবি, কাঁথিসহ একাধিক জায়গা থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পকটস্থ করেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু। কেবল আত্মসাৎ নয়, শুভেন্দু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাহায্যে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা গুজরাতের কোন এক সমবায় ব্যাঙ্কে স্থানান্তরিত করেছেন বলেও অভিযোগ করছেন প্রদীপ বাবু।
গ্রিনসিটি মিশন প্রকল্পে বেনিয়মের অভিযোগে কাঁথি থানা দুদিন আগেই শান্তিকুঞ্জে নোটিশ পাঠিয়েছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ গ্রিনসিটি মিশন প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে তৎপর জেলা প্রশাসন৷ ইতিমধ্যেই সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর স্ত্রীকে নোটিশ পাঠিয়ে তলব করা হয়েছে। তবে পরিবারের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷ কাঁথি বাতিস্তম্ভ দুর্নীতির তদন্তে তৎপর রাজ্য। গ্রিনসিটি প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন হাই মাস্ট বাতিস্তম্ভ এবং একই প্রকল্পের আওতায় সৌন্দর্যায়নের কাজে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছিল, বলে অভিযোগ উঠছে। ওই মামলায় সাক্ষী হিসেবে অধিকারী পরিবারের দুই সদস্যকে ডাকা হয়েছে। প্রদীপ গায়েন হুঁশয়ারি দিয়েছেন, আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অনেকেই জড়িয়ে রয়েছে। কোথায়, কার নির্দেশে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে তা ধীরে ধীরে সামনে আসবে। কটাক্ষের সুরে প্রদীপ বাবু জানান, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর বিরুদ্ধে যেসব তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, তাতে এক মাসের মধ্যে শুভেন্দুর রাতের ঘুম উড়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির তদন্ত করতে বিগত বছর ২৯ ডিসেম্বর পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসকের নির্দেশে পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্তি জেলাশাসক শ্বেতা আগরওয়াল, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মানব সিংলা, কাঁথির মহকুমাশাসক, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা, কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসসহ প্রশাসনিক কর্তা এবং কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যানকে নিয়ে কমিটি তৈরি করা হয়েছে।