বঙ্গ BJP-র সাংগঠনিক মেরামতে নাড্ডারা ভরসা রাখছেন সেই অবাঙালিদের উপরই
বঙ্গ বিজেপির অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দল ও ছন্নছাড়া পরিস্থিতি কিছুতেই সামলাতে পারছেন না জেপি নাড্ডা, অমিত শাহরা। কোনও ওষুধেই কাজ হচ্ছে না! বাংলার নেতাদের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না তারা।
বিজেপি’র একাংশের অভিযোগ ছিল, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রধানত ‘বহিরাগত’ নেতাদের সাংগঠনিক রিপোর্টে ভরসা করেই ভরাডুবি হয়েছিল বিজেপির। বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরে এই রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেননদের আর সে ভাবে বাংলায় দেখা যায়নি।
আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে বাংলার জন্য ফের ‘বহিরাগত’ নেতাদের উপরই ভরসা রাখছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শুক্রবার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা মোট ১৫টি রাজ্যে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং সহ-ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাকে নিয়োগ করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পশ্চিমবঙ্গ। বিহারের নেতা মঙ্গল পান্ডেকে বাংলায় দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে এদিন নিয়োগ করেছেন নাড্ডা। তিনি বিহার বিধান পরিষদের সদস্য এবং সঙ্ঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবেই পরিচিত। একইসঙ্গে বাংলায় দলের ভারপ্রাপ্ত সহনেতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অমিত মালব্য এবং আশা লাকড়াকে। ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেত্রী হিসেবে আশা লাকড়া সুপরিচিত।
গত ১০ অগস্ট রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসলকে। তবে উত্তরপ্রদেশে দলকে সাফল্য দেওয়া সুনীলের হাতে রয়েছে বাংলা ছাড়াও ওড়িশা ও তেলঙ্গানার দায়িত্ব।
বিজেপির জাতীয় সম্পাদক পদে থাকা অনুপম হাজরা এত দিন বিহারের সহ-পর্যবেক্ষক ছিলেন। শুক্রবার তাঁকে সেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব দেওয়া সত্ত্বেও বিহারে সফর না করা এবং বাংলায় বিজেপিকে বার বার অস্বস্তি ফেলার কারণেই অনুপমের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই দলের মধ্যে অভিযোগ তৈরি হচ্ছিল। রাজ্য বিজেপির অনেকেই মনে করেছেন সেই কারণেই অনুপমকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।
বিজেপির একাংশের মতে, বাইরের রাজ্য থেকে এক ঝাঁক নেতাকে আনলেই কি সংগঠনের সব রোগ কমে যাবে? ওনাদের বাংলার রাজনীতি বুঝতে বুঝতেই তো অনেকটা সময় চলে যাবে!