ভোটে লড়তে চান না তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ
ভোটে দাঁড়াবেন না। তাঁর জায়গায় দিনহাটার জন্য দল অন্য প্রার্থী খুঁজে নিক— স্থানীয় স্তরে দলীয় বৈঠকে এ কথা জানিয়ে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। সূত্রের খবর, সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, দলের একাংশের লাগামছাড়া দুর্নীতি আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দিনহাটার বিধায়কের এই মন্তব্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার কোচবিহারে নতুন অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল।
আমপান দুর্নীতি নিয়ে রাজনৈতিক তরজার মধ্যেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের অন্দরে। স্থানীয় স্তরে দলের একাংশের বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির কথা বলেই ভোটের রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়নবাবু। গত শনিবার দলের বিধায়কদের সঙ্গে ভিডিয়ো-বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর গত সোমবার জেলায় স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন উদয়নবাবু। দলের ওই সভায় নেতাকর্মীদের একাংশের দুর্নীতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘চাকরি দেওয়ার নাম করে কেউ কেউ কোটি কোটি টাকা তুলেছেন। এরপর তো তারা আর বাড়িতে থাকতে পারবেন না।’’ মঙ্গলবার এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উদয়নবাবু বলেন, ‘‘আমি যা বলার দলের সভায় বলেছি। বাইরে কিছু বলার নেই।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, ‘‘কে কোথায় প্রার্থী হবেন তা ঠিক করবে দল। তবে কারও ব্যক্তিগত কিছু থাকলে তা নিয়ে কিছু বলার নেই।’’
২০১৫ সালে ফরওয়ার্ড ব্লকের দোর্দ্যন্ডপ্রতাপ নেতা প্রয়াত কমল গুহের ছেলে উদয়ন তৃণমূলে যোগ দেন। দলের প্রার্থী হিসেবে দিনহাটা কেন্দ্র থেকে জিতলেও তখন থেকেই তৃণমূলে তাঁকে ঘিরে বিবাদ চলছে চড়া মাত্রায়। দলের তৎকালীন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে তাঁর বিরোধে একাধিকবার হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বকে। শাসকদলেরই প্রবীন রাজনীতিক এভাবে প্রার্থী হতে না চাইলে প্রাকনির্বাচনী আবহে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তাছাড়া দলের যুব ও মূল সংগঠনের বিরোধেও বারবার সংঘর্ষও হয়েছে কোচবিহারে।
ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন। এবার কি তিনি বিজেপিতে যাবেন? উদয়ন বলেন, ‘‘বিজেপিতে যাব কেন? আমি তো তৃণমূল ছাড়ার কথা বলিনি। যদি তা করি তাহলে রাজনীতি থেকেই সরে যাব।’’