ইংলিশবাজার এবং পুরাতন মালদহে পূর্ণ লকডাউন আজ থেকেই
আজ, বুধবার থেকে মালদহের দুই শহর ইংলিশবাজার এবং পুরাতন মালদহে পূর্ণ লকডাউন লাগু হচ্ছে। শহর দু’টির পাশাপাশি কালিয়াচক এবং সুজাপুরেও বিধিনিষেধ জারি হচ্ছে। আগামী সাত দিন লকডাউন বলবৎ থাকবে। এলাকায় দোকানপাট, বেসরকারি অফিস, যানবাহনে যাত্রী পরিবহণ ইত্যাদি বন্ধ থাকবে। ওষুধ, মুদিখানা, দুধ, সংবাদ মাধ্যম, দমকলের মতো জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি ক্ষেত্রে লকডাউন কঠোরভাবে পালন করতে হবে বলে জেলা প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, লকডাউনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুতের হিড়িক পড়ে যায়। নতুন করে চালু হওয়া লকডাউনে কী কী বিষয়ে ছাড় রয়েছে তা জানার জন্য শহরবাসী উৎসুক হয়ে ওঠে।
মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে আমরা লকডাউন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বুধবার থেকেই তা বলবৎ করা হবে। বিষয়টি সকলকে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। লকডাউন অমান্য করলে পুলিস প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
উল্লেখ্য, ইংলিশবাজার, পুরাতন মালদহ, কালিয়াচক, সুজাপুর এলাকায় করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। রোগ দ্রুত নতুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যে ওইসব জায়গায় তিনজনের মৃত্যুও হয়েছে। পরিস্থিতি কার্যত গোষ্ঠী সংক্রমণের জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। কারণ সম্প্রতি ভ্রমণের ইতিহাস নেই এমন লোকজনও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে লকডাউন ছাড়া প্রশাসনের কাছে আর কোনও উপায় ছিল না বলে আধিকারিকরা মনে করছেন।
করোনা ভাইরাস ঠেকাতে মালদহ জেলা প্রশাসন ব্যবসায়ী মহল লকডাউনের পথে সায় দেওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই ইংলিশবাজার এবং পুরাতন মালদহ দুই শহরে রসদ সংগ্রহের ভিড় উপচে পড়ে। শহরের একাধিক বাজারে এদিন ভিড় করে বাসিন্দাদের কেনাকাটা করতে দেখা গিয়েছে। সার্বিকভাবে জেলার একাধিক জায়গায় কড়া লকডাইনের ইঙ্গিত পেয়ে বাসিন্দারা দুপুর পর্যন্ত বাজার থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুদ করা শুরু করেন। এর আগে দেশজুড়ে প্রথম পর্বের লকডাউন শুরু হওয়ার আগেও এধরনের দৃশ্যই দেখা গিয়েছিল। সেদিনের সঙ্গে মঙ্গলবারের পরিস্থিতিকে অনেকটাই মিলিয়ে নিতে পেরেছেন পুরাতন মালদহ ও ইংলিশবাজার শহরের বাসিন্দারা।
মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, সকাল থেকেই বাজারগুলিতে ভিড় ছিল, এটা অস্বীকার করা যাবে না। এমনিতে বাসিন্দারা করোনা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন। তার মধ্যে লকডাউনের নতুন নিয়ম শুরু হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই অনেকে রসদ সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছেন এদিন। তবে কোথাও সামাজিক দূরত্ব অমান্য করা হয়নি। পুরাতন মালদহের শরৎচন্দ্র মিনি মার্কেট কমিটির সভাপতি অসীম ঘোষ বলেন, বাজারে ভিড় ছিল। তবে ক্রেতা-বিক্রেতা প্রত্যেকেই মাস্ক পরেছিলেন।