দেবের কবিতা ঘিরে হইচই সোশ্যাল মিডিয়ায়, বিতর্ক উস্কে পোস্ট শ্রীলেখার
টি-২০’র দুর্গাপুজোয় অনুরাগীদের ‘কিশমিশ’ (আগামী ছবি) উপহার দেবে ভেবেছিলেন। তবে করোনার জ্বালায় দেব-রুক্মিণীর সেই পরিকল্পনা আপাতত বিশ বাঁও জলে! লকডাউনে শুটিং বন্ধ! বিরতি কাটাচ্ছেন তাঁরা। আর তার মাঝেই নাকি দেবের মধ্যে ‘কবি সত্ত্বা’ খুঁজে পেয়েছেন রুক্মিণী মৈত্র! দেবের একটা লেখা সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধু পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী। ব্যস, রসবোধ না বুঝেই অমনি ট্রোলড হতে থাকেন দেব। অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও রয়েছেন সেই তালিকায়। দেবের (Dev) কবিতা প্রকাশিত হওয়া একটি কাগজের ছবি পোস্ট করে শ্রীলেখা লিখেছেন, “কী মিষ্টি না! আহা এরকম কবি যেন বাংলার ঘরে ঘরে জন্মায়..।” নেটদুনিয়ায় এত ঠাট্টা নজর এড়ানি সাংসদ-অভিনেতার। পালটা তিনিও লিখছেন যে, “আরে, যাদের ট্রোল করার অভ্যেস রয়েছে তারা তো ট্রোল করবেই…!”
তা যে কবিতার পোস্ট ঘিরে এত হইচই, সেটা কীরকম? সেই প্রসঙ্গে তো বলতেই হয়! “একটা গাছ ছিল। একটা উদ্ভিদ ছিল। গাছ উদ্ভিদকে জিজ্ঞেস করলো- তুমি আছো কেমন? উদ্ভিদ উত্তর দিল- আমি ঠিক আছি, তুমি কেমন?… ব্যস এই পর্যন্তই!” আজ্ঞে না, কবিতাটি এর থেকে আর বেশি বাড়ানোর চেষ্টা করেননি দেব। একেবারে মজাচ্ছলেই লিখে পাঠিয়েছিলেন বান্ধবী রুক্মিণী মৈত্রকে (Rukmini Moitra)। যা অভিনেত্রী নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বন্ধু দেবকে নিয়ে মজা করছিলেন। সবটাই একেবারে ঠাট্টাচ্ছলে হচ্ছিল। সেখানেই ঘটনার সূত্রপাত! কিন্তু বাদ সাধে নেটিজেনদের একাংশ। অযাচিতভাবেই ট্রোল করা শুরু করে দেন। সেই তালিকায় অবশ্য পরে যোগ দেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও (Sreelekha Mitra)।
তারপরই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন দেব। রুক্মিণীর পোস্টের স্ক্রিনশটের পাশে সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ছবি দিয়ে কোনওরকম ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গি না করে একেবারে সাদামাটাভাবেই সাংসদ-অভিনেতা লিখলেন, “আরে আমার প্রিয় বন্ধুরা, যাঁদের ভাল লাগার তাদের ভাল লাগবেই, যাঁদের ঘৃণা করার, তারা করবেই! আর যাদের ট্রোল করার অভ্যেস রয়েছে তাঁরা ট্রোল করবেই…! আমি তো শুধু ওঁর (রুক্মিণী) মুখে একটু হাসি ফোটাবার চেষ্টা করছিলাম মাত্র! আর এখন তো সবাই হাসছেন আমার কবিতা শুনে। যদিও তাঁদের হাসির কারণটা অন্য!”
দেবের এই পোস্টের পর কিন্তু সেই স্ক্রিনশটও শ্রীলেখা নিজের পোস্টে দিয়ে বলেছেন, “সত্যিই ছেলেটা মিষ্টি! এর মধ্যে কোনও ঠাট্টা খুঁজো না প্লিজ!” তবে অভিনেত্রীর এই মন্তব্যের আগেই যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। চতুর্দিক থেকে দেবকে ট্রোল করা হচ্ছে। পুরো ব্যাপারটাই আসলে মজাচ্ছলে করা হয়েছিল। কিন্তু দিন কয়েক আগে TikTok নিষিদ্ধ হওয়ার পর দুই তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি-নুসরতকে যেভাবে বিঁধেছিলেন শ্রীলেখা যে, “টিকটক তো বন্ধ, এবার যাদবপুর, বসিরহাটের সাংসদদের কোথায় দেখতে পাবেন?” তাতে কিন্তু জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছিল নেটদুনিয়াজুড়ে। তাই স্বাভাবিকবশতই যখন দেবের কবিতা শেয়ার করলেন অভিনেত্রী ঠাট্টা করে, সেক্ষেত্রেও নেটিজেনরা আক্রমণের ভাষাই খুঁজে নিলেন পোস্টে! সেই পোস্ট বিষয়ক ঠাট্টা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়া এখনও সরগরম। আসলে দেব-রুক্মিণীর সম্পর্ক নিয়ে আগাগোড়াই ভক্তরা কৌতূহলী! তাই এই সামান্য বিষয়টিই বা বাদ যায় কেন!