ওয়ার্ক ফ্রম গার্ডেনের সুযোগ নিউ টাউনে
গাছে কি জল দেওয়ার দরকার? শিকড়ের আশপাশের মাটি কি শুকিয়ে গিয়েছে? এ সব নিজেই বুঝবে সেন্সর। আর্দ্রতার মাত্রা কমে গিয়েছে বুঝলে জল দেওয়ার বার্তা দেবে যন্ত্রই। ঠিক যতটুকু প্রয়োজন গাছের, টবে ততটুকুই জল দেওয়া হবে পাম্প চালিয়ে। এই অভিনব প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে নিউ টাউনের নারকেলবাগান মোড়ে ভার্টিক্যাল গার্ডেনে। এই প্রযুক্তির নাম, ‘ইন্টারনেট অব থিংস’ বা আইওটি।
নিউ টাউনে মেট্রোর থামজুড়ে যে ভার্টিক্যাল গার্ডেন তৈরী হয়েছে, তাতে সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত হবে তাপমাত্রাও। এখানেই শেষ নয়, তৈরী হচ্ছে একটি পার্কও, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্মার্ট প্লাজা’। এখানে বসে প্রাকৃতিক পরিবেশে ল্যাপটপ খুলে কাজ করতে পারবেন যে কেউ। মিলবে ওয়াইফাই পরিষেবা।
প্রথমে কংক্রিটের থামের উপর লোহার অ্যাঙ্গেল লাগানো হয়েছে। তার উপর লোহার জাল। ওপরে জিওটেক্সটাইল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। থাম জুড়ে জালের উপর বসানো হয়েছে ছোট-ছোট টব। তাতে মাটি দিয়ে বসানো হয়েছে গাছ। দু’টি গাছের সারির মধ্যে পাইপ দিয়ে জল দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
গাছের পরিচর্যার পুরো ব্যাপারটাই পর্যবেক্ষণ করা হবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। থামে আটকানো গাছেই লাগানো আছে সেন্সর। এই সেন্সরগুলি আইওটি-র মাধ্যমে ইন্টারনেট ক্লাউডে সংযুক্ত। এই সেন্সরই সব সময় খেয়াল রাখছে গাছের গোড়ায় আর্দ্রতার পরিমাণ কী রকম। যদি আর্দ্রতা কমে যায়, তা হলে সেন্সর এসএমএসে জানান দেবে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকে। তখনই থামের গায়ে আটকানো পাইপের মাধ্যমে গাছে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা যাবে।
হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, ‘মেট্রোর পিলারের উচ্চতায় উঠে গাছের আর্দ্রতা দেখা এবং জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা কঠিন। তাই প্রযুক্তির সাহায্যে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা।’ নারকেলবাগান মোড়ে বিমানবন্দর যাওয়ার দিকে এক একর জমিতে তৈরী হচ্ছে নতুন পার্ক–স্মার্ট প্লাজা।